অতিরিক্ত হাতে ও পায়ের তালু ঘামে। শীতের দিনও টপটপ করে পানি পড়ে ( ১৫-৬০ তম দিনে ১০০% সমাধান)

অতিরিক্ত হাত ও পায়ের তালু ঘামে

শীত আর গরম নেই প্রায় সব সময় হাত ও পায়ের তালু দিয়ে ঘাম পড়তে থাকে। অতিরিক্ত হাত ও পায়ের তালু ঘামে। হ্যান্ডশেক করতে না পারা, পরীক্ষার খাতা ভিজে যাওয়া , জুতা-মোজা ঘামে নষ্ট হওয়া, শীতকালে হাত-পা কম্বল বা কাঁথার ভেতরে রাখতে না পারা, নার্ভাস হলেই ঘাম টপটপ করে বেয়েবেয়ে পড়া।অতিরিক্ত হাত ও পায়ের তালু ঘামে।😢

অতিরিক্ত হাত ও পায়ের তালু ঘামে

অতিরিক্ত হাত ও পায়ের তালু ঘামের সমাধান কি ?

বিশ্বে এই রোগের চার ধরনের চিকিৎসা রয়েছে (সাধারণত) চিকিৎসা গুলো হলো

  1. অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেট মলম
  2. ETS Surgery
  3. বোটক্স (Botox) ইনজেকশন 
  4. আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis) যন্ত্র

অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেট মলম:

দৈনিক প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘন্টা অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেট নামে একরকমের মলম লাগিয়ে পলিথিন শীট বা এ ধরণের কোন পাতলা আবরণ দিয়ে ঢেকে রাখা। তবে হাতের তালুতে এরকমভাবে মলম লাগিয়ে ঢেকে রাখাটা একটু অবাস্তব হয়ে যায়। তার পরও এর সফলতার হার তেমন বেশী নয়। অনেকেরই এতে কাজ হয় না।

ETS Surgery:

মেরুদন্ডের কাছে endoscopic thoracic sympathectomy (ETS) নামে এক ধরণের অপারেশন করে স্নায়ুবিশেষের একটি অংশ কেটে ফেলা। এর ফলে হাতে ঘাম হবার স্নায়ুগুলো মস্তিস্ক থেকে সঙ্কেত না পাবার কারণে আর ঘাম তৈরী করে না। বোঝাই যাচ্ছে এটি একটি ব্যয়বহুল ও জটিল অপারেশন। একটু এদিক ওদিক হলেই গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শরীরের অংশবিশেষে অনুভুতির দুর্বলতা চলে আসতে পারে। আবার হাতের ঘাম বন্ধ হলেও অনেক সময় শরীরের অন্য স্থানে ঘাম বেড়ে যেতে দেখা যায়। আর এ অপারেশনটি করলে তা পরে আর ফেরানো যায় না। তাই উপরে উল্লেখ করা কোন ক্ষতি হয়ে গেলে তা নিয়ে সারা জীবন চলতে হবে। তাছাড়া পায়ের ঘামের জন্য এ অপারেশনটি তেমন সুবিধাজনক নয়। এ সব কারণের জন্য এ পদ্ধতিটি জনপ্রিয় হয় নি।

বোটক্স (Botox) ইনজেকশন : 

বোটক্স (Botox) ইনজেকশন। এ ইনজেকশনটি Botulinum Toxin নামে একটি মারাত্মক বিষ থেকে তৈরী যার এক মাইক্রোগ্রাম খেলে বা শ্বাস নিলে একজন মানুষ মারা যেতে পারে। এ বিষকে অনেক পাতলা করে বোটক্স ইনজেকশন তৈরী কর হয়। শরীরের স্নায়ুর সঙ্কেত আদান প্রদানের কাজকে অকেজো করে দেয় বোটক্স। অতিরিক্ত ঘাম প্রশমনের জন্য এক বারে হাতের বিভিন্ন স্থানে চামড়ার ভিতরে ১০/১৫টি ইনজেকশন দিতে হয়। তবে এটি স্থায়ী সমাধান নয়। একবার ইনজেকশন দিলে ৩ থেকে ৯ মাসের জন্য ঘাম স্বাভাবিক হয়ে যায়, কিন্তু এ বিরতির পর আবার ইনজেকশন দিতে হবে। এমনি করে সারাজীবন ধরে ইনজেকশন নিতে হবে। এ ক্ষেত্রেও ইনজেকশনটি একটু এদিক ওদিক হয়ে স্নায়ু ও মাংসপেশীর সন্ধিস্থলে পড়ে গেলে হাত কিছুটা দুর্বল বা অবশ হয়ে পড়তে পারে। এর খরচও অনেক, তারপরও একটি ভয় থেকেই যায়। 

আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis) যন্ত্র :

ব্যবহারে হাতের বা পায়ের তালুর ভিতর দিয়ে মৃদু একটি বিদ্যুৎ প্রবাহ পরিচালিত করা। ১৯৩০ এর দশকে প্রথম হাত-পা ঘাম নিরসনের জন্য আয়ন্টোফোরেসিস এর ব্যবহার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয় ও ধীরে ধীরে এ পদ্ধতির উন্নতি হয়। তবে এটিও স্থায়ী সমাধান নয়, একবার ভাল হবার পর ৫/৬ সপ্তাহ পরে আবার ঘাম শুরু হয়। তখন আবার এ চিকিৎসা নিয়ে আবারও ৫/৬ সপ্তাহ ভাল থাকতে পারেন। এ পদ্ধতির সুবিধা হল যে এর কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই এবং রোগী ঘরে বসেই এ চিকিৎসা নিতে পারেন। তাই কিছুদিন পরপর কয়েকদিন করে এ চিকিৎসা নিয়ে রোগী সবসময়ের জন্যই ভাল থাকতে পারবেন। তবে এ চিকিৎসার কার্যকরণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনও পরিষ্কার নন। সব রোগীর ক্ষেত্রেও এ পদ্ধতি কাজ করে না। পাশ্চাত্যের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে দেখা যায় যে প্রায় ৮৫% রোগীর ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি কাজ করে, ১৫% ক্ষেত্রে কাজ করে না। তবে বাংলাদেশে আমরা এর থেকে অনেক ভাল ফলাফল পেয়েছি

আপনার কোন চিকিৎসাটা নেওয়া উচিত ?

কি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন আপনার কোনটা নেওয়া উচিত ঠিক বুঝতে পারতেছেন না। একজন ভাইয়ের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা নিম্নে দেওয়া হল আশা করি পুরোটা পড়লে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুলবেন না সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

এই ভাইয়ের জীবন কাহিনীতে আপনার জীবন বদলে দিতে পারে

আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আরো ভালো থাকতেন সবাই, যদি এই Hyperhidrosis নামক সমস্যাটা না থাকতো। আমিও আপনাদের মতো একজন। যতদুর মনে পড়ে, আমি যখন ৭ম_৮ম শ্রেণীতে পড়ছি, তখন থেকে এই HH (Hyperhidrosis) আমার পিছু নিয়েছে। HH এর ব্যাসিক কুফলসমুহ আপনাদের সবারই জানা। হ্যান্ডশেক করতে না পারা, পরীক্ষার খাতা ভিজে যাওয়া , জুতা-মোজা ঘামে নষ্ট হওয়া, শীতকালে হাত-পা কম্বল বা কাঁথার ভেতরে রাখতে না পারা, নার্ভাস হলেই ঘাম টপটপ করে বেয়েবেয়ে পড়া  আরো অনেক অনেক সমস্যা। এবার আসি আমার HH treatment এর কথায়। গত ৫ বছরে অনেক কিছু ট্রাই  করেছি। প্রথমে ট্যাবলেট, তারপর হোমিওপ্যাথি প্রায় ২বছর। হোমিওপ্যাথির দরুন আমার পয়জন_রিয়েকশন(চুল পড়া, নখে রক্ত জমে যাওয়া ইত্যাদি) হয়েছিলো। সর্বশেষ ঢাকা হসপিটালের এক Dermatologist (চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ) এর শরণাপন্ন হই। প্রায় ৬মাস এই-সেই ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ড্রাইকেয়ার, লোশন ব্যবহার করে ৫% এর মতন ফল পাই। যা কোন কাজেই আসে নি বলা চলে। সর্বশেষ উনি আমাকে Iontophoresis_Device  ব্যবহার করার পরামর্শ দেন, যা আমার জীবনে একটা আশার আলো দেখিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ্‌ । আমি  প্রায় দেড় বছর যাবত এই মেশিন ব্যবহার করছি 😊ধৈর্য্যধরে নিয়মিত ব্যবহার করেন, ফল পাবেন ইনশাআল্লাহ। এক বা দুই সপ্তাহ ব্যবহার করলেই ফলাফল পাবেন না, কন্ডিশন অনুযায়ী থ্যারাপি সময় নিবে কাজ করতে। আর হ্যাঁ, Hyperhidrosis has no permanent treatment. এই ডিভাইস  সারাজীবন ই ব্যবহার করতে হবে, গ্যাপ দিয়ে দিয়ে। HH ভিকটিমের ব্রেইন ঘামগ্রন্থিতে অনবরত এই নির্দেশ ই পাঠাই যে,  যতপারো ঘাম বের কর😑 । প্রথমে এক_দুই মাস ব্যবহার করার পর, #Iontophoresis_Device কারেন্ট প্রবাহের মাধ্যমে আমাদের ঘামগ্রন্থিসমূহকে সাময়িকভাবে আংশিক  ড্যামেজ করে দেয়, আর তখন ঘাম হয় না। কিছুদিন পর এই ঘামগ্রন্থি আবার রিবিল্ড হয়,তখন আবার ঘাম শুরু হয়; তাই আবার থ্যারাপি ব্যবহার করতে হয়। আমি সেজন্য প্রায় প্রতিদিন মেশিনটা ব্যবহার করার চেষ্টা করি। আরো কিছু চিকিৎসা আছে Botox Injection (অনেক ব্যয়বহুল/ ৫_৬ মাস কাজ করে আবার ঘাম ফিরে আসে),  ETS Surgery (আরো বেশি ব্যয়বহুল, উল্টো ঘাম বাড়িয়ে দেয় পুরো শরীরে, সারাবিশ্বে এর সাকসেস রেইট মাত্র ৩_৪%, কয়েকটা দেশে অলরেডি নিষিদ্ধ করা হয়েছে )।সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমি Iontophoresis_Device কেই এগিয়ে রাখবো,কারণ আমি এর সুফল ভোগ করছি। 

বিশেষ_দ্রষ্টব্য  : FB page নেওয়া (FB post)

আমি নিজে এই রোগে আক্রান্ত আমার অভিজ্ঞতা:

আমি নিজেও ওই রোগে আক্রান্ত এবং ইতিপূর্বে যে পোস্টটি পড়লেন ওই পোস্টের সাথে আমার জীবনের সাথে 99% মিল আছে তাই ওই পোস্ট টি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।এখন আমি বর্তমানে এই ডিভাইসটি ব্যবহার করি। এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি

 ডিভাইসটি নিতে চান?

অতিরিক্ত হাত ও পায়ের তালু ঘামে
কুরিয়ার সার্ভিস মাধ্যমে বাংলাদেশে যে কোন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হয় । ডিভাইসটি ক্রয় করার জন্য আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে এড হন। এবং গ্রুপ এডমিন এর সাথে কথা বলে অর্ডার করুন। গ্রুপ এডমিন আপনাকে সম্পূর্ণ প্রসেস বুঝিয়ে দেবে।

ডিভাইসটির মূল্য: ৩০০০৳

  • অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ: Facebook Group
  • এডমিন ___হোয়াটসঅ্যাপ : WhatsApp  অবশ্যই কল দিবেন না মেসেজ করে রাখবেন

১৫ তম দিন থেকে ৬০ তম দিনের ভিতর যেকোনো দিন সুস্থ হয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ

Post a Comment

Previous Post Next Post