নিম গাছ গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (PDF ১০০% বোর্ড কমন উত্তর উত্তর)

নিম গাছ গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

নিম গাছ দিনগুলি গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর।নিম গাছ গল্পকে বিশ্লেষণ করলে অনেকগুলো অনুধাবনমূলক প্রশ্ন পাওয়া যায় তার ভিতর বাছাইকৃত ও গুরুত্বপূর্ণ। নবম দশম শ্রেণীর বাংলা প্রথম পত্র নিম গাছ গল্পের প্রশ্ন উত্তর নিম্নে দেওয়া হলো

নিম গাছ গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-.১ নিমগাছের পাতা গরম তেলে ভাজা হয় কেন? 

উত্তর: নিমগাছের পাতা গরম তেলে ভাজা হয় চুলকানিতে লাগানোর জন্য। নিমগাছের পাতা নানা রোগের ওষুধ। এর ছাল বাকল, পাতা সবকিছু মানুষের জন্য উপকারী। বিশেষ করে নিমের পাতা গরম তেলে ভেজে খোশ, দাদ, হাজা চুলকানিতে লাগালে তা ভালো হয়। গরম তেলে ভাজলে এ পাতা মচমচে ও খেতে উপাদেয় হয়। 

প্রশ্ন-২ 'খোস দাদ হাজা চুলকানিতে লাগাবে।'— ব্যাখ্যা করো। 
উত্তর: নিমগাছের পাতা, ছাল ইত্যাদি চর্মরোগের মহৌষধ— এ প্রসঙ্গে কথাটি বলা হয়েছে। নিমগাছের ঔষধিগুণ সম্পর্কে সবাই জানে। এর পাতা, ছাল ইত্যাদি সিদ্ধ করে, শিলে পিষে অথবা তেলে ভেজে চর্মরোগের স্থানে লাগালে সুফল পাওয়া যায়। আর তাই নিমগাছের উপকারিতা ও ব্যবহার বোঝাতে উক্তিটি করা হয়েছে। 

প্রশ্ন-৩ নিমপাতা কীভাবে আমাদের উপকারে আসে, ব্যাখ্যা করো। 
উত্তর, নিমপাতা তার ঔষধি গুণের সাহায্যে আমাদের নানা উপকার করে। নিমপাতায় রয়েছে জীবাণু প্রতিরোধী উপাদান যা আমাদের ত্বক ও শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। নিমপাতা বেটে গায়ে লাগালে তা খোস, দাদ, হাজা ইত্যাদি চর্মরোগ বিনাশ করে। গরম তেলে নিমপাতা ভেজে খেলে বিশেষ উপকার মেলে। কচি পাতাগুলো ভেজে বেগুন সহযোগে খেলে যকৃতের বেশ উপকার হয়। 

প্রশ্ন-৪ 'নিমের হাওয়া ভালো, থাক, কেটো না'— বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: নিমগাছের উপকারিতার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বিজ্ঞরা আলোচ্য উপদেশটি দিয়েছেন। নিমগাছ একটি ঔষধি গাছ। এর ছাল-বাকল, ডাল-পাতা সবই চর্মরোগের মহৌষধ। এমনকি এর হাওয়া উপকারী। এর হাওয়া-বাতাস গায়ে লাগলে ছোঁয়াচে রোগ, চর্মরোগ ভালো হয়। কিন্তু আমাদের সমাজের অজ্ঞ লোকেরা নিমগাছের তেমন যত্ন নেয় না। অবহেলা করে কেটে ফেলে। তাই বিজ্ঞ নিমগাছের অপরিসীম উপকারের কথা ভেবে জনসাধারণকে তা কাটতে বারণ করেন। 

প্রশ্ন-৫ 'বিজ্ঞরা নিমগাছ কাটতে নিষেধ করেন'— ব্যাখ্যা করো। 
উত্তর: নিমগাছ বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলে বিজ্ঞরা নিমগাছ কাটতে নিষেধ করেন। নিমগাছ খুব উপকারী বৃক্ষ। এর হাওয়া, পাতা, বাকল নানা রোগের ঔষধ হিসেবে যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ কারণে প্রাত্যহিক জীবনে নিমগাছের ব্যবহার বহুবিধ। তাই বাড়ির পাশে নিমগাছ গজালে বিজ্ঞরা তা কাটতে নিষেধ করেন। 

প্রশ্ন-৬ নতুন ধরনের লোকটি কী রকম ব্যতিক্রমী আচরণ করল? ব্যাখ্যা করো। 
উত্তর: নতুন ধরনের লোকটি নিমগাছ দেখে অন্য সকলের মতো অবজ্ঞা না করে প্রশংসা করল। লোকটি এসেই নিমগাছটির দিকে তাকিয়ে রইল মুগ্ধ দৃষ্টিতে। ছাল তুলল না, পাতা ছিঁড়ল না, ডাল ভাঙলো না। নিমগাছের রূপ ও গুণের প্রশংসা করল সে, তার দৃষ্টিতে, সুন্দর পাতার এই নিমগাছের ফুল যেন নীল আকাশ থেকে সবুজ সায়রে নেমে আসা নক্ষত্র।

 প্রশ্ন-৭ ‘বাহ্, কী সুন্দর পাতাগুলি... কী রূপ।'— এ কথাটি বলতে লোকটি কী বুঝিয়েছেন? 
উত্তর: নিমগাছের পাতার সৌন্দর্যে মুগ্ধ লোকটি বলেছিলেন ‘বাহ, কী সুন্দর পাতাগুলি... কী রূপ!’ নিমগাছ কাজে যতটা উপকারী গুণেও ততটা প্রশংসনীয়। এর পাতাগুলি এতই সুন্দর যে, থোকা থোকা ফুলের সাথে পাতাগুলোকে লোকটির কাছে সবুজ সায়র মনে হয়। পাতার সৌন্দর্যকে বর্ণনা করতেই লোকটি আলোচ্য কথাটি বলেছেন। 

প্রশ্ন-২০ কবিকে নতুন ধরনের লোক বলা হয়েছে কেন? 
উত্তর: কবির সাথে অন্য সকলের চেতনাগত পার্থক্য থাকায় তাকে নতুন ধরনের লোক বলা হয়েছে। সবাই নিমগাছ থেকে তার প্রয়োজন মিটিয়ে নেয়। কিন্তু নিমগাছের সামান্য যত্নও কেউ নেয় না। একদিন কবি নিমগাছটির কাছে আসে এবং এর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়। অন্যদের সঙ্গে কবির এমন চেতনাগত পার্থক্যের কারণেই তাকে নতুন ধরনের লোক বলা হয়েছে। 

প্রশ্ন-৮ বাড়ির বউটি সংসার ছেড়ে যেতে পারে না কেন? 
উত্তর: সংসারের মায়াজালের কারণেই বউটি সংসার ছেড়ে যেতে পারে না। বাড়ির সবার মাঝে অবহেলিতভাবে দিন কাটায় লক্ষ্মীবউটি। কিন্তু সংসারের প্রতি মায়া জন্মে যাওয়ায় সে সংসার ছেড়ে যেতে পারে না। বাড়ির লোকেরা তার মূল্য বুঝতে না পারলেও বউটি নিজ দায়িত্ব উপলব্ধি করে সংসার আঁকড়েই পড়ে থাকে। এ কারণে সুযোগ এলেও সে বাড়ি ছেড়ে যেতে পারে না। 

বাংলা ১ম পত্র অনুধাবনমুলক প্রশ্ন উত্তর

Post a Comment

Previous Post Next Post