নিয়তি গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (PDF ১০০% বোর্ড কমন উত্তর উত্তর)

নিয়তি গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

নিয়তি দিনগুলি গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর । নিয়তি দিনগুলি গল্পকে বিশ্লেষণ করলে অনেকগুলো অনুধাবনমূলক প্রশ্ন পাওয়া যায় তার ভিতর বাছাইকৃত ও গুরুত্বপূর্ণ । নবম দশম শ্রেণীর বাংলা প্রথম পত্র নিয়তি গল্পের দিনগুলোর গল্পের প্রশ্ন উত্তর নিম্নে দেওয়া হলো

নিয়তি গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. মুক্তির মহানন্দ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। 
উত্তর: ‘মুক্তির মহানন্দ' বলতে স্কুলের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির কথা বলা হয়েছে। শৈশবে স্কুলে পড়াকে 'নিয়তি' গল্পের লেখকের কাছে যন্ত্রণাদায়ক মনে হতো। এ সময় তিনি বাবার চাকরিসূত্রে জগদল নামক একটা স্থানে বসবাস শুরু করেন যেখানে স্কুল ছিল না। এজন্য তাকে স্কুলেও যেতে হতো না। এতে তিনি পড়াশোনা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। এ কথাটি বোঝানোর জন্যই লেখক 'মুক্তির মহানন্দ' কথাটি উল্লেখ করেছেন।

প্রশ্ন-২. জগদলে লেখকের পরিবার কোথায় বসবাস করতেন? বর্ণনা করো। 
উত্তর: জগদলে লেখকের পরিবার এক মহারাজার বসতবাড়িতে বাস করতেন। দেশবিভাগের ফলে মহারাজা ভারতে চলে যান। বাড়ি চলে এসেছে পাকিস্তান সরকারের হাতে। মহারাজার বিশাল ও প্রাচীন বাড়ির একতলায় লেখকের পরিবারের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। 

প্রশ্ন-৩. মহারাজা কেন ইন্ডিয়ায় চলে গিয়েছিলেন? 
উত্তর: দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ বিভাগের কারণে মহারাজা ইন্ডিয়ায় চলে গিয়েছিলেন । ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ বিভাগ হয়। মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান এবং হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে ভারত রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। ফলে পাকিস্তান রাষ্ট্রের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা ঘর-বাড়ি ফেলে ভারতে চলে যায়। মূলত এই কারণেই মহারাজা ইন্ডিয়ায় চলে যান। 

প্রশ্ন-৪. লেখকের কাছে মহারাজাকে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী বলে মনে হলো কেন
উত্তর: রাজবাড়িতে মহারাজার ক্ষমতার নানা ধরনের প্রমাণ উপস্থিত থাকায় লেখকের কাছে মহারাজাকে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী বলে মনে হলো। মহারাজার বসতবাড়িটি ছিল প্রকাণ্ড। সে বাড়ির ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল নানা আধুনিক ব্যবস্থা। জঙ্গলের ভেতর বাড়িটি অবস্থিত হলেও বিদ্যুতের ব্যবস্থার জন্য ছিল নিজস্ব জেনারেটর। দাওয়াতের চিঠি ছাপানোর জন্য মিনি সাইজের একটি ছাপাখানাও ছিল। এগুলো দেখেই লেখকের মনে মহারাজার বিশাল ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা জন্মায়। 

প্রশ্ন-৫. মহারাজাকে ক্ষমতাশালী হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে কেন? 
উত্তর: বিশাল এবং প্রাচীন দুতলা বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র দেখে। মহারাজাকে ক্ষমতাশালী হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে। লেখকের বাবার চাকরিসূত্রে জগদলের একটি পরিত্যক্ত বিশাল মহারাজার বাড়িতে অবস্থানকালে লেখক তার মাকে মহারাজার নাম জিজ্ঞেস করেছিলেন। কিন্তু মা বলতে পারলেন না। তবে মহারাজা যে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী ছিলেন তার অসংখ্য প্রমাণ সে বাড়িতে ছড়ানো ছিল ইলেকট্রিসিটির ব্যবস্থার জন্য ছিল নিজস্ব জেনারেটর। দাওয়াতের চিঠি ছাপানোর জন্য ছিল মিনি সাইজের একটা ছাপাখানা। কতো বিচিত্র ধরনের বইয়ের গ্রন্থাগার ছিল। এসব মহামূল্যবান সম্পদের সমাহারে মহারাজাকে ক্ষমতাশালী হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে। 

প্রশ্ন-৬. মহারাজার রুচি লেখকের বাবার কাছে প্রশংসনীয় ছিল কেন? 
উত্তর: মহারাজার বিচিত্র পুস্তকসম্ভারের কারণে মহারাজার রুচি লেখকের বাবার কাছে প্রশংসনীয় ছিল। জগদলে মহারাজার বাড়িতে উঠেছিলেন লেখকরা। তাঁর বাড়িতে ছিল প্রচুর বই। সেগুলো আবার ছিল বিচিত্র ধরনের। বই সংগ্রহের ব্যাপারে মহারাজার শৌখিন মনোভাবের পরিচয়ে পেয়ে লেখকের বাবা তাঁর রুচির প্রশংসা করেন । 

প্রশ্ন-৭ জগদলে থাকার সময়কার বিকেলগুলো রোমাঞ্চকর ছিল কেন?
উত্তর: জগদলে থাকার সময় প্রতিদিন বিকেলে লেখক তাঁর বাবার সাথে জঙ্গলে বেড়াতে যেতেন বলে বিকেলগুলো রোমাঞ্চকর ছিল। জগদলে থাকার সময় সেখানে স্কুল না থাকায় পড়াশোনার ঝামেলা ছিল না। এছাড়া লেখক তাঁর বাবার সাথে প্রতিদিন বিকেলে বনের পথে ঘুরতে বের হতেন। চিতাবাঘের ভয়ে এসময় লেখক তাঁর বাবার সাথে গুলিভরা বন্দুক থাকত। এরকমভাবে অস্ত্র নিয়ে বনে ঘুরে বেড়াতেন বলেই সে সময়ের বিকেলগুলো লেখকের কাছে রোমাঞ্চকর ছিল। 

প্রশ্ন-৮ আনন্দে ও আতঙ্কে শিউরে শিউরে উঠতেন কেন লেখক? 
উত্তর: বন থেকে আসা বিচিত্র শব্দ শুনে লেখক আনন্দ এবং আতঙ্কে শিউরে শিউরে উঠতেন। লেখকরা জগদলে মহারাজার যে বাড়িতে উঠেছিলেন সেই বাড়ি ছিল বনের ভেতরে। সন্ধ্যা হলেই সেই বন থেকে বিচিত্র ধরনের শব্দ আসত। সেই শব্দ শুনে লেখক রোমাঞ্চ অনুভব করতেন এবং আনন্দ এবং আতঙ্কে লেখক শিউরে শিউরে উঠতেন।

প্রশ্ন-৯. “বাবা-মা দুজনেরই মুখ শুকিয়ে গেল" – কেন? 
উত্তর: সন্তানের অমঙ্গল আশঙ্কা করে লেখকের বাবা-মা দুজনেরই মুখ শুকিয়ে গেল জগদলে থাকাকালীন লেখকের একদিন কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এলো যা ম্যালেরিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। সে সময় ম্যালেরিয়া ছিল ভয়াবহ এক রোগের নাম। এ রোগে মানুষের মৃত্যু ছিল নৈমিত্তিক ব্যাপার। একবার কেউ এ রোগে পড়লে তার জীবনীশক্তি সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ হয়ে যেত। এ কারণের লেখকের বাবা-মার মুখ শুকিয়ে গিয়েছিল।

প্রশ্ন-১০ লেখকের মন ভেঙে গেল কেন? 
উত্তর: সুন্দর জায়গা এবং চমৎকার জীবন ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা শুনে লেখকের মন ভেঙে গেল। লেখকের শৈশবের অদ্ভুত স্বপ্নময় কিছুদিন কেটেছে জগদলে। জগদলের দিনগুলো লেখকের কাছে আনন্দময় ছিল। কারণ এখানে পড়াশোনার যন্ত্রণা নেই। এক মহারাজার পরিত্যক্ত বিশাল এবং প্রাচীন বাড়িতে লেখক মা-বাবাসহ থাকতেন। পাশেই বিশাল বন। একদিন কাঁপুনি দিয়ে লেখকের ভীষণ জ্বর এলো। এ অঞ্চলে ম্যালেরিয়া কুখ্যাত ছিল। তাই এই ভয়ংকর জায়গা থেকে লেখকের বাবা বদলির জন্য চেষ্টা তদবির করছেন শুনে লেখকের মন ভেঙে গেল। কারণ লেখকের কাছে জায়গাটি বিচিত্র-সুন্দর ছিল। 

প্রশ্ন-১১ ‘ম্যালেরিয়ায় মরতে হলেও এখানেই মরব' – লেখক এ কথা বলেছেন কেন? 
উত্তর: জগদলের রাজবাড়িটি লেখকের ভালো লেগেছিল বলে লেখক সে বাড়ি ছেড়ে যেতে না চাওয়া প্রসঙ্গে আলোচ্য কথাটি বলেছেন। লেখকের বাবার বদলি সূত্রে জগদলে তাদের থাকতে হয়েছিল। জঙ্গলে ঘেরা বাড়িটিতে লেখকের কাঁপুনি দিয়ে ম্যালেরিয়া জ্বর ওঠে। লেখকের বাবা এই ভয়ংকর বাড়িতে আর থাকতে চান না। কিন্তু লেখক এত সুন্দর জায়গা ছেড়ে মরে গেলেও যাবে না বলে জানায়। 

প্রশ্ন-১২'সে কিছুতেই রাজবাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি হয়নি'— বুঝিয়ে লেখ?
উত্তর: মহারাজা ইন্ডিয়া চলে যাবার সময় তার কুকুরগুলোকে নিয়ে গেলেও বেঙ্গল টাইগারকে নিয়ে যেতে পারেনি- উক্তিটিতে সে কথাই বুঝানো হয়েছে। নিয়তি' গল্পের লেখকের বাবা চাকরি সূত্রে জগদলে গিয়ে একটি জঙ্গলাবৃত পরিত্যক্ত বাড়িতে বসবাস করতেন। বাড়িটি ছিল একজন মহারাজার। সে দেশ বিভাগের কারণে ইন্ডিয়া চলে গেছেন। যাবার সময় তেমন কিছু নিয়ে যেতে না পারলেও তার পোষা কুকুরগুলোকে তিনি নিয়ে যেতে চাইলেও বেঙ্গল টাইগারকে নিয়ে যেতে পারেননি। কারণ কুকুরটি কিছুতেই এ রাজবাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি হয়নি। আলোচ্য উক্তিটিতে সে কথাই বুঝানো হয়েছে। 

প্রশ্ন-১৩ ‘নিয়তি’ গল্পের কুকুরটি বাড়ি ছেড়ে যায়নি কেন? ব্যাখ্যা করো
উত্তর: রাজবাড়িটির প্রতি মায়ার কারণে ‘নিয়তি’ গল্পের কুকুরটি বাড়ি ছেড়ে যায়নি। জগদলে মহারাজার বাড়িতে ছিল অনেকগুলো কুকুর। তিনি সবকটাকে নিয়ে যান, কিন্তু এই কুকুরটিকে তিনি নিতে পারেননি। সে কিছুতেই রাজবাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি হয়নি। বাড়িটির প্রতি এই কুকুরটির গভীর মায়া পড়ে গিয়েছিল বলে সে বাড়ি ছেড়ে যায়নি। 

প্রশ্ন-১৪ সাপটিকে দেখে শাহীন আনন্দিত হলো কেন? 
উত্তর: শিশুমনের কৌতূহলের কারণে শাহীন সাপটিকে দেখে আনন্দিত হলো। একদিন ভোরে লেখক তাঁর ভাইবোনদের সঙ্গে মন্দিরের চাতালে বসেছিলেন। এ সময় লেখকের মা তাঁদের মাঝে ছোট্ট শাহীনকে বসিয়ে দিয়ে যান। কিন্তু মা চলে যাওয়ার পর লেখক হিসহিস শব্দ শুনে পেছনে ফিরে তাকান। দেখেন— মন্দিরের বন্ধ দরজার ফাঁক দিয়ে এক প্রকাণ্ড কেউটে সাপ ফণা তুলে তাঁদের দিকে আসছে। ঘটনার আকস্মিকতায় তিন ভাই বোন ছিটকে সরে পালালেন। শাহীন একা বসে রইল। সাপটিকে দেখে তার আনন্দের সীমা ছিলো না। কেননা সে বয়সে শাহীনের মনে সাপের প্রতি ভয় ছিল না। শিশুমনের কৌতূহল থেকে ফলে সাপটিকে সে খেলনা মনে করেছিল। তাই সাপটিকে দেখে সে আনন্দিত হলো।

প্রশ্ন-১৫ বেঙ্গল টাইগার কেন শাহীনকে বাঁচিয়েছিল? 
উত্তর: প্রভুভক্তির কারণে বেঙ্গল টাইগার শাহীনকে বাঁচিয়েছিল। কুকুর স্বভাবতই প্রভুভক্ত হয়। মনিব বা তার পরিবারের কারো বিপদের কথা বুঝতে পরলে কুকুর সর্বদাই সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। বেঙ্গল দিকে এগিয়ে আসতে দেখে সে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে রক্ষা করেছিল। টাইগারও ছিল এক প্রভুভক্ত কুকুর। তাইতো কেউটে সাপকে শাহীনের

প্রশ্ন-১৬ লেখকের ভাই শাহীন সাপের কামড় থেকে কীভাবে রক্ষা পেল? 
উত্তর: বেঙ্গল টাইগার নিজের জীবন বিপন্ন করে সাপটিকে মেরে ফেলায় শাহীন সাপের কাপড় থেকে রক্ষা পেল। লেখকের ভাই শাহীন সাপের দিকে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করলে বেঙ্গল টাইগার সাপটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সাপের ফণা কামড়ে ছিঁড়ে ফেলে। এর ফলে সাপটির মৃত্যু হয় এবং লেখকের ভাই সাপের কামড় থেকে রক্ষা পায়।  

প্রশ্ন-১৭ বেঙ্গল টাইগারের গায়ে ঘা দেখা দিল কেন? 
উত্তর: সাপের কামড়ের বিষক্রিয়ায় বেঙ্গল টাইগারের গায়ে ঘা দেখা দিয়েছিল । মন্দিরের বন্ধ দরজার ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসা কেউটে সাপের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটিকে মেরে ফেলে বেঙ্গল টাইগার। এর ফলে বেঁচে যায় লেখকের ছোটো ভাই। কিন্তু সাপটিকে মেরে ফেলার সময় সাপটিও কুকুটিকে কামড়ে দেয়। সাপের বিষক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর না হলেও ক্রমান্বয়ে তা কুকুরটির গায়ে পচন ধরায়। এ কারণেই বেঙ্গল টাইগারের গায়ে ঘা দেখা দেয়। 

প্রশ্ন ১৮ সাপের কামড়ে কুকুরটির কী অবস্থা হয়? 
উত্তর: সাপের কামড়ের বিষক্রিয়ায় কুকুরটির গায়ে পচন ধরে। লেখকের ভাই শাহীনকে বাঁচাতে কুকুরটি সাপের ফণা ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় কুকুরটি সাপের কামড় খায়। বিষক্রিয়ার কারণে প্রাথমিকভাবে কুকুরটির নড়াচড়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন তার চামড়া খসে পড়ে এবং দগদগে ঘা দেখা যায়। এর দু'দিন পর কুকুরটির শরীরের মাংস পচতে শুরু করে । 

প্রশ্ন-১৯ লেখকের বাবা বেঙ্গল টাইগারের ক্ষেত্রে নিয়তি শব্দটি ব্যবহার করেছেন কেন? 
উত্তর: পুত্রের রক্ষাকারী বেঙ্গল টাইগারকে নিজ হাতে মারতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে লেখকের বাবা নিয়তি শব্দটি ব্যবহার করেছিল মহারাজার কুকুর বেঙ্গল টাইগার লেখকের ভাইকে সাপের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই সাপের কামড় খায়। সাপের বিষে ধীরে ধীরে সে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে থাকে। তার সে যন্ত্রণা লেখকের বাবা সহ্য করতে পারছিলেন না বলে কুকুরটিকে তিনি গুলি করে হত্যা করেন। যে তাঁর ছেলেকে রক্ষা করল, তাকেই নিজ হাতে মারতে হলো বলে লেখকের বাবা নিয়তি শব্দটি ব্যবহার করেছেন 

প্রশ্ন-২০ লেখকের কাছে তাঁর বাবাকে পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম মানুষদের একজন বলে মনে হলো কেন? 
উত্তর: বেঙ্গল টাইগারকে গুলি করে মেরেছিলেন বলে লেখকের কাছে তাঁর বাবাকে পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম মানুষ বলে মনে হয়েছিল । সাপের ছোবলে বেঙ্গল টাইগারের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। চামড়া খসে শরীরে দগদগে ঘা দেখা যায়। সে সারাদিন অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে। তার এই দুঃসহ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে, তাকে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়ার উদ্দেশ্যেই লেখকের বাবা তাকে গুলি করে হত্যা করেন। কিন্তু লেখকের শিশুমন এ যুক্তি মানতে পারে না। তাই তার কাছে বাবাকে পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম মানুষ বলে মনে হলো। 

বাংলা ১ম পত্র অনুধাবনমুলক প্রশ্ন উত্তর

Post a Comment

Previous Post Next Post