SSC পদার্থবিজ্ঞানের একাদশ অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ( PDF A+১০০% কমন উপযোগী প্রশ্ন )

SSC পদার্থবিজ্ঞানের একাদশ অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর। পদার্থবিজ্ঞানে A+ পাওয়া পানির মত সহজ করে তুলবে এই প্রশ্নগুলি। ১০০% কমন উপযোগী। এই প্রশ্নগুলো শিখে রাখলে পরীক্ষা ইনশাল্লাহ কমন পড়বে। কারণ এখানে বাছাইকৃতভাবে বিভিন্ন নামিদামি ক্যাডেট স্কুল এবং বোর্ড বিশ্লেষণ করে প্রশ্নগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে। নবম দশম শ্রেণীর পদার্থবিজ্ঞানের জ্ঞানমূলক

SSC পদার্থবিজ্ঞানের একাদশ অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহ রোধের উপর নির্ভরশীল- ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : যে ধর্মের জন্য পরিবাহীর তড়িৎ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় তাই হলো রোধ। বর্তনীতে যদি রোধের মান বেশি হয় তাহলে তড়িৎ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে বেশি ফলে তড়িৎ প্রবাহের মান কমে যাবে এবং বর্তনীতে যদি রোধের পরিমাণ কম হয় তাহলে তড়িৎ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে কম এবং তড়িৎ প্রবাহের মান বেড়ে যাবে। অর্থাৎ বলা যায়, বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহ রোধের উপর নির্ভরশীল। 

প্রশ্ন ২। তড়িৎপ্রবাহের সময় ইলেকট্রন স্থানান্তরিত হলেও প্রোটন স্থানান্তরিত হয় না কেন? 
উত্তর : আমরা জানি, প্রোটনগুলো সবল নিউক্লিয় বল দ্বারা নিউক্লিয়াসে নিউট্রনগুলোর সাথে আবদ্ধ থাকে এবং ইলেকট্রনগুলো বিভিন্ন কক্ষপথে অবস্থান করে। তাই পরিবাহীর দুপ্রান্তে বিভব পার্থক্য প্রয়োগ করলে যখন তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয়, তখন ইলেকট্রন স্থানান্তরিত হলেও নিউক্লিয়াসে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকার কারণে প্রোটন স্থানান্তরিত হয় না।

প্রশ্ন ৩ । তড়িচ্চালক শক্তি বল নয়— ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :  কোনো তড়িৎ উৎস একক ধনাত্মক আধানকে বর্তনীর এক বিন্দু থেকে উৎসসহ সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করে, তথা উৎস যে তড়িৎশক্তি ব্যয় করে, তাকে ঐ উৎসের তড়িচ্চালক শক্তি বলে। যদি Q আধানকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আনতে W পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয়, তাহলে একক EMF-40 ব্যাটারি সেল বা জেনারেটর, যেগুলো বিদ্যুৎ শক্তি সরবরাহ করে তার তড়িচ্চালক শক্তি বা EMF থাকে। যখন কোনো ব্যাটারি সেল বা জেনারেটরকে কোনো সার্কিটে লাগানো হয় তখন এই তড়িচ্চালক শন্তিই চার্জকে পুরো সার্কিটের ভেতর দিয়ে ঘুরিয়ে আনে। একটা ব্যাটারি যে পরিমাণ পটেনশিয়াল তৈরি করে সেটিই হচ্ছে তার তড়িচ্চালক শক্তি বা EMF 

প্রশ্ন ৪। কোষের তড়িচ্চালক শক্তি 4 v বলতে কী বোঝায়? 
সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা] উত্তর : কোষের তড়িচ্চালক শক্তি 4 V দ্বারা বুঝায় । C আধানের তড়িৎ প্রবাহ ঐ কোষ সমেত কোনো বর্তনীর এক বিন্দু হতে সম্পূর্ণ বর্তনী একবার ঘুরিয়ে ঐ বিন্দুতে আনতে 4 J কাজ সম্পন্ন হয়।  

প্রশ্ন ৫। তাপমাত্রা বাড়ালে অর্ধপরিবাহীর রোধ কমে যায় কেন? 
উত্তর : আমরা জানি, পরমশূন্য তাপমাত্রায় অর্ধপরিবাহীর ইলেকট্রনগুলো অণুবন্ধনগুলো খুবই সবল হয় এবং সবগুলো যোজন ইলেকট্রনই পরমাণুতে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকে। এই তাপমাত্রায় সমযোজী সহযোগী অণুবন্ধন তৈরিতে ব্যস্ত থাকে। ফলে কোনো মুক্ত ইলেকট্রন থাকে না। তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে কিছু সংখ্যক সমযোজী অণুবন্ধন ভেঙে যায় এবং কিছু ইলেকট্রন পরিবহন ব্যান্ডে প্রবেশ করার মতো যথেষ্ট শক্তি অর্জন করে এবং মুক্ত ইলেকট্রনে পরিণত হয়। এসময় সামান্য বিভব পার্থক্য প্রয়োগে মুক্ত ইলেকট্রনগুলো তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি করে অর্থাৎ এর রোধ কমে যায়। 

প্রশ্ন ৬। সিলিকনকে উত্তপ্ত করলে রোধ কমে যায় কেন? 
উত্তর : আমরা জানি, সিলিকন একটি অর্ধপরিবাহী পদার্থ। আর পরম শূন্য তাপমাত্রায় অর্ধ-পরিবাহীর ইলেকট্রনগুলো পরমাণুতে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকে। এই তাপমাত্রায় সমযোজী অণুবন্ধনগুলো খুবই সবল হয় এবং সবগুলো যোজন ইলেকট্রনই সহযোগী অণুবন্ধর তৈরিতে ব্যস্ত থাকে। ফলে কোনো মুক্ত ইলেকট্রন থাকে না। তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে কিছু সংখ্যক সমযোজী অণুবন্ধন ভেঙে যায় এবং কিছু ইলেকট্রন পরিবহন ব্যান্ডে প্রবেশ করার মতো যথেষ্ট শক্তি অর্জন করে এবং মুক্ত ইলেকট্রনে পরিণত হয়। এসময় সামান্য বিভব পার্থক্য প্রয়োগে মুক্ত ইলেকট্রনগুলো তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি করে। আবার তড়িৎ প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এজন্য সিলিকনকে উত্তপ্ত করলে রোধ কমে যায়। 

প্রশ্ন ৭। তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে পরিবাহী পদার্থের পরিবাহকত্ব কমে যায় কেন? 
উত্তর : কোনো পরিবাহকের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল স্থির থাকলে পরিবাহিতার মান নির্ভর করে পরিবাহীর উপাদান ও তাপমাত্রার উপর। সাধারণত সকল ধাতুই ভালো পরিবাহক অর্থাৎ ধাতব পদার্থের তড়িৎ পরিবাহিতা বেশি। কিন্তু তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে সকল পরিবাহকেরই পরিবাহিতা হ্রাস পায়। পরিবাহিতা ও রোধ পরস্পর বিপরীত রাশি অর্থাৎ পরিবাহিতা হ্রাস পেলে রোধ বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া তাপমাত্রা বাড়লে পরিবাহীর মুক্ত ইলেক্ট্রনগুলো উত্তেজিত হয় বলে এদের গতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পরিবাহীর মধ্য দিয়ে চলার সময় পরিবাহীর অণুগুলোর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফলে পরিবাহকত্ব কমে যায়। 

প্রশ্ন ৮। নিম্ন তাপমাত্রায় অর্ধপরিবাহী অপরিবাহীর মতো আচরণ কেন ?
উত্তর : নিম্ন তাপমাত্রায় অর্ধপরিবাহীতে ইলেকট্রনগুলো পরমাণুতে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকে। এ তাপমাত্রায় সমযোজী অণুবন্ধনগুলো খুবই সবল হয় এবং সবগুলো যোজন ইলেকট্রনই সমযোজী অণুবন্ধন তৈরিতে ব্যস্ত থাকে। ফলে কোনো মুক্ত ইলেকট্রন থাকে না এবং অর্ধপরিবাহীতে কেলাস এ অবস্থায় যোজন ব্যান্ড পূর্ণ থাকে এবং যোজন ব্যান্ড ও পরিবহন ব্যান্ডের মাঝে শক্তির ব্যবধান বেশি হয়। ফলে কোনো যোজন ইলেকট্রন পরিবহন ব্যান্ডে এসে মুক্ত ইলেকট্রনে পরিণত হতে পারে না। এজন্যই মুক্ত ইলেকট্রন না থাকার কারণে নিম্ন তাপমাত্রায় অর্ধপরিবাহী পদার্থ অপরিবাহীর মতো আচরণ করে। 

প্রশ্ন ৯। পরিবর্তী প্রবাহের কম্পাঙ্ক 50 Hz বলতে কী বুঝ?
উত্তর : পরিবর্তী প্রবাহের কম্পাঙ্ক 50 Hz বলতে বুঝায় যে ঐ পরিবর্তী উৎস থেকে উৎপন্ন তড়িৎ প্রবাহ সেকেন্ডে 50 বার দিক পরিবর্তন করে। 

প্রশ্ন ১০। “তড়িৎ প্রবাহের প্রকৃত দিক প্রচলিত দিকের বিপরীত” ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : চল তড়িৎ আবিষ্কৃত হওয়ার সময় মনে করা হতো যে ধনাত্মক আধানের প্রবাহের ফলে তড়িৎ প্রবাহের সৃষ্টি হয় এবং এ ধনাত্মক আধান উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়। তাই তড়িৎ প্রবাহের প্রচলিত দিক ধরা হয় উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভবের দিকে। কিন্তু আমরা জানি, প্রকৃতপক্ষে তড়িৎ প্রবাহ হলো ঋণাত্মক আধান তথা ইলেকট্রন প্রবাহের জন্য। ফলে তড়িৎ প্রবাহের দিক হলো নিম্নতর বিভব থেকে উচ্চতর বিভবের দিকে। সুতরাং তড়িৎ প্রবাহের প্রকৃত দিক প্রচলিত দিকের বিপরীত।

প্রশ্ন ১১। একই উপাদানের সমদৈর্ঘ্যের দুটি পরিবাহীর রোধ ভিন্ন হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর একই উপাদানের সমদৈর্ঘ্যের দুটি পরিবাহীর রোধ ভিন্ন হয় তাদের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল অথবা তাপমাত্রার ভিন্নতার কারণে। ব্যাখ্যা : আমরা জানি, কোনো পরিবাহীর উপাদানের আপেক্ষিক রোধ p, পরিবাহীর দৈর্ঘ্য L ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল A হলে ঐ পরিবাহীর রোধ R = pā। এখন একই উপাদানের সমদৈর্ঘ্যের দুটি পরিবাহীর ক্ষেত্রে এদের আপেক্ষিক রোধ (স্থির তাপমাত্রার ক্ষেত্রে) ও দৈৰ্ঘ্য সমান থাকে। ফলে এদের রোধের ভিন্নতার কারণ হবে এদের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের ভিন্নতা। আবার তাপমাত্রার ভিন্নতার কারণেও রোধের ভিন্নতা হতে পারে। কারণ তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিলে যেহেতু অণু-পরমাণুগুলো বেশি কাঁপাকাঁপি করে তাই সব সময় তাপমাত্রা বাড়ালে পরিবাহী পদার্থের আপেক্ষিক রোধ বেড়ে যায়। ফলে রোধেরও পরিবর্তন ঘটে।  

প্রশ্ন ১২। কোনো পরিবাহী তারের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করলে রোধ বৃদ্ধি পায় 
উত্তর : রোধের দৈর্ঘ্যের সূত্র হতে পাই, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট উপাদানের পরিবাহীর প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল স্থির থাকলে পরিবাহীর রোধ এর দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক। সুতরাং নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, উপাদান ও প্রস্থচ্ছেদের পরিবাহকের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করলে রোধও বৃদ্ধি পাবে।

প্রশ্ন ১৩। তামার আপেক্ষিক রোধ 1.68 x 10# 2m বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্য ও একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট কোনো পরিবাহীর রোধকে ঐ তাপমাত্রায় এর উপাদানের আপেক্ষিক রোধ বলে। তামার আপেক্ষিক রোধ 1.68 x 10*2m বলতে বোঝায়।m দৈর্ঘ্য ও Im' প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট তামার তারের রোধ হবে।.68 x 10*52. 

প্রশ্ন ১৪। বৈদ্যুতিক কেটলিতে নাইক্রোম তার ব্যবহার করা হয় কেন? 
উত্তর : আমরা জানি, যেসব পদার্থের আপেক্ষিক রোধের মান বেশি তাদের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহের সময় বেশি পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়। নাইক্রোমের আপেক্ষিক রোধ 100 x 10*52m । ফলে এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহের সময় প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। তবে এর গলনাঙ্ক বেশি হওয়ায় উচ্চ তাপেও এটি গলে না। এজন্যই বৈদ্যুতিক কেটলিতে নাইক্রোম তার ব্যবহার করা হয়। 

প্রশ্ন ১৫। অভ্যন্তরীণ রোধের মান বাড়ালে তড়িৎ প্রবাহ কমে যায় কেন? 
উত্তর : তড়িৎ প্রবাহ, 1. RET R+r কোণের তড়িচ্চালক শক্তি E এবং বর্তনীর রোধ R নির্দিষ্ট হলে,  17 অর্থাৎ বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহ কোষের অভ্যন্তরীণ রোধের ব্যস্তানুপাতিক। এজন্য অভ্যন্তরীণ রোধের মান বাড়লে তড়িৎ প্রবাহ কমে যায়। 

প্রশ্ন ১৬। তারের ব্যাসার্ধ বাড়ালে প্রবাহ বৃদ্ধি পায় কেন? 
উত্তর : রোধের প্রস্থচ্ছেদের সূত্রানুযায়ী নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট উপাদানের পরিবাহকের দৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত থাকলে পরিবাহকের রোধ এর প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের ব্যস্তানুপাতে পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ, R = 1; যখন L ধ্রুব থাকে । 

প্রশ্ন ১৭। বাসাবাড়িতে সমান্তরাল বর্তনী ব্যবহার করা হয় কেন?  
উত্তর : যে বর্তনীতে তড়িৎ উপকরণগুলো এমনভাবে সাজানো থাকে যে, প্রত্যেকটির এক প্রান্তগুলো একটি সাধারণ বিন্দুতে এবং অপর প্রান্তগুলো অন্য একটি সাধারণ বিন্দুতে সংযুক্ত থাকে তবে তাকে সমান্তরাল বর্তনী বলে। এ সংযোগের ফলে প্রত্যেকটি উপকরণ একই ভোল্টেজ সরবরাহ পায়; কিন্তু উপকরণগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রবাহ গ্রহণ করে। এ বর্তনীতে ইচ্ছামতো কোনো উপকরণ চালু বা বন্ধ করা যায়। এ কারণে বাসাবাড়িতে সমান্তরাল বর্তনী ব্যবহার করা হয়। 

প্রশ্ন ১৮। বর্তনীতে অ্যামিটারকে শ্রেণীতে এবং ভোল্টমিটারকে সমান্তরালে সংযুক্ত করা হয় কেন? 
উত্তর : বর্তনীতে অ্যামিটার সাধারণত তড়িৎ প্রবাহ নির্ণয় করা হয় এবং ভোল্টমিটার এর সাহায্যে বিভব পার্থক্য পরিমাপ করা হয়। অ্যামিটারের রোধ খুবই কম। তাই একে বর্তনীতে শ্রেণীতে যুক্ত করা হলে মূল প্রবাহের কোনো পরিবর্তন হয় না। অন্যথা একে যদি বর্তনীতে সমান্তরালে যুক্ত করা হয় তাহলে মূল প্রবাহ অ্যামিটারের মধ্যদিয়ে চলে যাবে। ফলে বর্তনী তড়িৎ প্রবাহশূন্য হয়ে যাবে। তাই একে শ্রেণীতে যুক্ত করা হয়। 

প্রশ্ন ১৯। সিস্টেম লস কেন হয়? ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : সিস্টেম লস হচ্ছে পাওয়ার সিস্টেমে যে লস হয় সেটি অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থল থেকে ভোগকারীর দোর গোড়ায় পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সিস্টেমে যে লস হয় সেটিই সিস্টেম লস। আমরা জানি, বিদ্যুৎ তারের মাধ্যমে প্লান্ট থেকে ভোগকারীর কাছে পৌঁছায় এবং এই সম্পূর্ণ পথে একাধিক জায়গায় বিভব বাড়ানো ও কমানের জন্য ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করা হয়। এই ট্রান্সফর্মারও হচ্ছে তারের কুন্ডলীর সমন্বয়। ব্যবহৃত এই তারের নিজস্ব রোধ থাকায় এর ভিতর দিয়ে তড়িৎ প্রবাহের ফলে IPR সূত্রানুসারে ক্ষমতা তথা শক্তির অপচয় হয়। এই শক্তির অপচয়ই সিস্টেম লস নামে পরিচিত। 

প্রশ্ন ২০। তড়িতের সিস্টেম লস বলতে কী বোঝ? 
উত্তর : বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ শক্তি নিম্ন ভোল্টেজে উৎপাদন করা হয়। পরে এ ভোল্টেজকে স্টেপ আপ ট্রান্সফর্মার এর সাহায্যে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তরিত করা হয়। বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য যেসব পরিবাহী তার ব্যবহার করা হয় তাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রোধ থাকে। ফলে এ রোধকে অতিক্রম করার জন্য তড়িৎশক্তির একটি অংশ তাপে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ শক্তির লস বা ক্ষয় হয়। এ লসই হলো তড়িতের সিস্টেম লস। 

প্রশ্ন ২১। দূর-দূরন্তে বিদ্যুৎ পরিবহনের ক্ষেত্রে কিছু বিদ্যুৎ শক্তি অপচয় হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : আমরা জানি, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ শক্তি নিম্ন ভোল্টেজে উৎপাদন করা হয়। পরে এ ভোল্টেজকে স্টেপ আপ ট্রান্সফর্মারের সাহায্যে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তরিত করা হয়। বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য যেসব পরিবাহী তার ব্যবহার করা হয় তাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রোধ থাকে। ফলে এ রোধকে অতিক্রমের জন্য তড়িৎশক্তির একটি অংশ তাপে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ শক্তির লস বা ক্ষয় হয়। এ লসই হলো তড়িতের সিস্টেম লস। উচ্চ ভোল্টেজে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ফলে বিদ্যুৎ গ্রিড তথা পরিবাহীর রোধের কারণে যে লস হয় তা অনেকাংশে কমে যায়। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎশক্তির জন্য, উচ্চ ভোল্টেজে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ফলে তড়িৎ প্রবাহের মান কম হয়। এর ফলে রোধজনিত লসের পরিমাণও কমে যায়। এজন্যই দূর-দূরান্তে তড়িৎ প্রেরণের ক্ষেত্রে কিছু বিদ্যুৎ শক্তি অপচয় হয় । 

প্রশ্ন ২২। ভূসংযোগ তার নিম্নরোধের হওয়ার কারণ, ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : ভূসংযোগ তার নিম্ন রোধের হয়, কারণ বিভিন্ন কারণে বর্তনী ত্রুটিযুক্ত হলে যাতে অতিরিক্ত তড়িৎপ্রবাহ খুব সহজে ভূমিতে চলে যেতে পারে। অর্থাৎ ত্রুটিপূর্ণ বর্তনীতে উচ্চমানের তড়িৎপ্রবাহ ভূমিতে চলে যেতে যাতে কম বাধা পায় সেকারণে ভূসংযোগ তার নিম্নরোধের হয়ে থাকে। 

প্রশ্ন ২৩। তড়িৎ বর্তনীতে সার্কিট ব্রেকারের ভূমিকা কী? 
উত্তর : নিরাপত্তামূলক কৌশল হিসেবে সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত বাড়ির সম্মুখে দরজার আশেপাশে স্থাপন করা হয়। যখন কোনো বর্তনীতে অধিক তড়িৎ প্রবাহিত হয় তখন সার্কিট ব্রেকার বর্তনীর তড়িৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। সার্কিট ব্রেকার বাড়ির কোনো নির্দিষ্ট অংশের তড়িৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে। বর্তনীতে সার্কিট ব্রেকার না থাকলে অতিরিক্ত তড়িৎ প্রবাহের জন্য বাড়ির তড়িৎ সরঞ্জাম বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি অগ্নিকাণ্ডও ঘটতে পারে। 

প্রশ্ন ২৪। বৈদ্যুতিক নিরাপত্তায় ভূসংযোগ তারের ব্যবহার ব্যাখ্যা 
উত্তর : ভূসংযোগ তার হলো নিম্নরোধের তার। এটি সাধারণত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ধাতব ঢাকনার সাথে সংযুক্ত থাকে। বিভিন্ন কারণে বর্তনী ত্রুটিযুক্ত থাকতে পারে। যেমন— যদি জীবন্ত তার সঠিকভাবে সংযুক্ত না থাকে এবং তা যদি বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ধাতব ঢাকনাকে স্পর্শ করে তবে ব্যবহারকারী বৈদ্যুতিক শক দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। ধাতব ঢাকনাটি ভূসংযুক্ত অবস্থায় থাকলে এমনটি ঘটবে না। এক্ষেত্রে জীবন্ত তার থেকে উচ্চমানের তড়িৎপ্রবাহ ধাতব ঢাকনা হয়ে ভূসংযোগ তার দিয়ে মাটিতে চলে যাবে। ফলে ফিউজটি পুড়ে যাবে এবং তড়িত্যন্ত্রের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।  

প্রশ্ন ২৫। বিদ্যুৎ লাইনের সাথে ধাতব খুঁটির সরাসরি সংযোগ থাকে 
উত্তর : রাস্তায় বিদ্যুৎ লাইনের তার খাটাবার সময় ধাতব খুঁটির সাথে সরাসরি সংযুক্ত করা হয় না। ধাতু তড়িতের সুপরিবাহী। ধাতব খুঁটির সাথে সরাসরি সংযোগ করা হলে তারের তড়িৎ খুঁটির মধ্য দিয়ে মাটিতে চলে যেত। কেউ ঐ খুঁটি স্পর্শ করলে সাথে সাথে তড়িৎ স্পষ্ঠ হতো এবং মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতো। তাই অপরিবাহী পোর্সেলিনের কাপের মধ্য দিয়ে তারকে খুঁটির সাথে সংযোগ দেওয়া হয়। 

প্রশ্ন ২৬। গৃহে বিদ্যুতায়নের জন্য কোন বর্তনী উপযোগী এবং কেন?
উত্তর : গৃহে বিদ্যুতায়নের জন্য সমান্তরাল বর্তনী উপযোগী। যে বর্তনীতে তড়িৎ উপকরণগুলো এমনভাবে সাজানো থাকে যে, প্রত্যেকটির এক প্রান্তগুলো একটি সাধারণ বিন্দুতে এবং অপর সংযোগ দেওয়া হয় কেন? সাথে সরাসরি সংযুক্ত করা হয় না। ধাতু তড়িতের সুপরিবাহী। ধাতব খুঁটির প্রান্তগুলো অন্য একটি সাধারণ বিন্দুতে সংযুক্ত থাকে তবে তাকে সাথে তারের সরাসরি সংযোগ করা হলে তড়িৎ খুঁটির মধ্য দিয়ে মাটিতে চলে যেত। কেউ ঐ খুঁটি স্পর্শ করলে সাথে সাথে তড়িৎ পৃষ্ঠ হতো এবং মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতো। তাই অপরিবাহী পোর্সেলিনের কাপের মধ্য দিয়ে তারকে খুঁটির সাথে সংযোগ দেওয়া হয়। সমান্তরাল বর্তনী বলে। এ সংযোগের ফলে প্রত্যেকটি উপকরণ একই ভোল্টেজ সরবরাহ পায়; কিন্তু উপকরণগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রবাহ গ্রহণ করে। এ বর্তনীতে ইচ্ছামতো কোনো উপকরণ চালু বা বন্ধ করা যায়। এ কারণে গৃহে বিদ্যুতায়নের জন্য সমান্তরাল বর্তনী উপযোগী। 

Post a Comment

Previous Post Next Post