SSC পদার্থবিজ্ঞানের ৮ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ( PDF A+১০০% কমন উপযোগী প্রশ্ন )

SSC পদার্থবিজ্ঞানের ৮ম  অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর। পদার্থবিজ্ঞানে A+ পাওয়া পানির মত সহজ করে তুলবে এই প্রশ্নগুলি। ১০০% কমন উপযোগী। এই প্রশ্নগুলো শিখে রাখলে পরীক্ষা ইনশাল্লাহ কমন পড়বে। কারণ এখানে বাছাইকৃতভাবে বিভিন্ন নামিদামি ক্যাডেট স্কুল এবং বোর্ড বিশ্লেষণ করে প্রশ্নগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে। নবম দশম শ্রেণীর পদার্থবিজ্ঞানের অনুধাবনমূলক

SSC পদার্থবিজ্ঞানের ৮ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১।“আলো এক প্রকার শক্তি" ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : পৃথিবীতে সকল শক্তির উৎস হলো সূর্য। প্রাণী ও উদ্ভিদ কোষে মজুদকৃত আলোক শক্তি থেকেই তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি জীবাশ্ম জ্বালানির সৃষ্টি হয়েছে। লেন্স বা দর্পণের সাহায্যে আলোক শক্তিকে অভিসারিত করে আগুন জ্বালানো যায়। এছাড়াও সোলার ওয়াটার হিটার, সোলার কুকার ইত্যাদিতে ব্যবহৃত শক্তি আলো থেকেই আসে। তাই আলো এক প্রকার শক্তি। 

প্রশ্ন ২। দিনের বেলায় চাঁদকে সাদা দেখালেও সূর্যাস্তের পর চাঁদকে কেমন দেখায় ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : দিনের বেলায় আকাশ কর্তৃক বিক্ষিপ্ত হালকা নীল আলো চাঁদের নিজস্ব রঙের সাথে মিশে যায়। এ দুইটি বর্ণের মিশ্রণের ফলে চোখে চাঁদকে সাদা বলে মনে হয়। কিন্তু সূর্যাস্তের পর আকাশের হালকা নীল রং লোপ পায় বলে চাঁদকে হলদে বলে মনে হয়। 

প্রশ্ন ৩। সবুজ আলোতে আম গাছের পাতাকে সবুজ কিন্তু পাকা আমকে কালো দেখায় কেন? 
উত্তর : আলোর প্রতিফলন ও শোষণের কারণে আমরা রঙিন বস্তু রঙিন দেখি। কোনো বস্তু তার উপর আপতিত আলোক রশ্মিগুলোর মধ্যে নিজের রং ছাড়া বাকি সব রঙের আলো শোষণ করে নেয় এবং নিজের রং প্রতিফলিত করে। এ প্রতিফলিত রশ্মি চোখের রেটিনার কোন কোষ দ্বারা মস্তিষ্কে রঙিন বস্তু দেখার অনুভূতি জাগায়। এজন্য সবুজ আলোতে আম গাছের সবুজ পাতাকে সবুজ দেখায়। তবে পাকা আমের রং যেহেতু সবুজ হয় না সেহেতু সবুজ আলোতে পাকা আমের রংটি শোষিত হয়। ফলে পাকা আমকে কালো দেখায়। 

প্রশ্ন ৪। নীল আলোতে গাছের সবুজ পাতা কালো কিন্তু খাতার সাদা পৃষ্ঠা নীল রং দেখায় কেন? উত্তর : আলোর প্রতিফলন ও শোষণের কারণে আমরা রঙিন বস্তু রঙিন দেখি। কোনো বস্তু তার উপর আপতিত আলোক রশ্মিগুলোর মধ্যে নিজের রং ছাড়া বাকি সব রঙের আলো শোষণ করে নেয় এবং নিজের রং প্রতিফলিত করে। এ প্রতিফলিত রশ্মি চোখের রেটিনার কোন কোষ দ্বারা মস্তিষ্কে রঙিন বস্তু দেখার অনুভূতি জাগায়। এখন, নীল আলোতে গাছের সবুজ পাতা দেখলে পাতাটি সবুজ আলো শোষণ করে নিবে। ফলে কোনো রং প্রতিফলিত হবে না এবং পাতাটি কালো দেখাবে। কিন্তু খাতার সাদা পৃষ্ঠার ক্ষেত্রে নীল ব্যাতীত অন্য সকল আলো শোষণ করে নিবে। 

প্রশ্ন ৫। সিনেমার পর্দা অমসৃণ ও সাদা হয় কেন? 
উত্তর : সিনেমার পর্দা অমসৃণ ও সাদা হয়। কারণ আমরা জানি, যেকোনো মসৃণ তলে আলোর প্রতিফলন ঘটে। আলোর প্রতিফলনের ফলে মসৃণ তলের সামনে প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। সিনেমার পর্দাটি যদি মসৃণ হয় তাহলে প্রতিফলনের ফলে পর্দার সামনে প্রতিবিম্ব গঠিত হবে। পর্দার সামনে যাতে প্রতিবিধ গঠিত না হতে পারে সেজনা সিনেমার পর্দাটি অমসৃণ হয়। আবার, সিনেমার পর্দা সাধারণত সাদা রঙের হয়। আমরা জানি, সিনেমা হলে পর্দার ওপর আলো ফেলে দর্শকদের সিনেমা দেখানো হয়। পর্দা সাদা বলে পর্দার আলো সিনেমার নির্দিষ্ট রঙের আলোর উপর পড়লে ঐ নির্দিষ্ট রঙের আলো ব্যাতীত অন্য রঙের আলোগুলো শোষিত হয়। ফলে ঐ আলোটি ভালোভাবে ফুটে উঠে। অর্থাৎ কালো বা অন্য রঙের পর্দা হলে পরিষ্কার দৃশ্য পাওয়া যায় না। এজন্যই সিনেমার পর্দা সাদা থাকে।

প্রশ্ন ৬। অবাস্তব প্রতিবিম্ব দ্বারা কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।  
উত্তর : কোনো বিন্দু হতে নিঃসৃত আলোক রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলন 'বা প্রতিসরণের পর দ্বিতীয় কোনো বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হলে অবাস্তব প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। এক্ষেত্রে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত রশ্মির প্রকৃত মিলন হয় না এবং এ বিশ্ব চোখে দেখা যায় কিন্তু পর্দায় ফেলা যায় না। 

প্রশ্ন ৭। আলোর নিয়মিতি প্রতিফলন ও অনিয়মিত প্রতিফলন এক নয়- ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ও অনিয়মিত প্রতিফলন এক নয়। ব্যাখ্যা : 
মসৃণ প্রতিফলক পৃষ্ঠে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে কিন্তু অমসৃণ প্রতিফলক পৃষ্ঠে আলোর অনিয়মিত প্রতিফলন ঘটে। ২. নিয়মিত প্রতিফলনে প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হলেও অনিয়মিত প্রতিফলনে প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয় না। ৩. নিয়মিত প্রতিফলনে বস্তু উজ্জ্বল দেখালেও অনিয়মিত প্রতিফলনে বস্তু উজ্জ্বল দেখায় না। উপরোক্ত কারণে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ও অনিয়মিত প্রতিফলন এক নয়। 

প্রশ্ন ৮। হলুদ আলোতে সবুজ পাতার রং কিরূপ হবে? ব্যাখ্যা কর । 
উত্তর : আলোর প্রতিফলন ও শোষণের কারণে আমরা রঙিন বস্তু রঙিন দেখি। কোনো বস্তু তার উপর আপতিত আলোক রশ্মিগুলোর মধ্যে নিজের রং ছাড়া বাকি সব রঙের আলো শোষণ করে নেয় এবং নিজের রং প্রতিফলতি করে। এ প্রতিফলিত রশ্মি চোখের রেটিনার কোন কোষ দ্বারা মস্তিষ্কে রঙিন বস্তু দেখার অনুভূতি জাগায়। এখন, হলুদ আলোতে সবুজ পাতা দেখলে পাতাটি হলুদ আলো শোষণ করে নিবে। ফলে কোনো রং প্রতিফলিত হবে না। এবং পাতাটি কালো দেখাবে। বিভিন্ন আপতন কোণে আপতিত হওয়ায় প্রতিফলিত রশ্মিগুলো আর সমান্তরাল থাকে না। ফলশ্রুতিতে আমাদের চোখে যে সকল প্রতিফলিত রশ্মি প্রবেশ করে তারা ব্যাপ্ত প্রকৃতির হয়। এজন্য ব্যাপ্ত প্রতিফলনে বস্তুগুলো অনুজ্জ্বল দেখায়। 

প্রশ্ন ১১। বস্তু উজ্জ্বল বা অনুজ্জ্বল দেখায় কেন? 
 উত্তর : যদি একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোকরশ্মি কোনো মসৃপ হলে আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ বা অভিনারী বা অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয় তবে এ ধরনের প্রতিফলনকে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন বলে। ব্যাপ্ত প্রতিফলনের ক্ষেত্রে প্রতিফলনের পর প্রাপ্ত রশ্মিগুচ্ছ সমান্তরাল বা অভিসারী বা অপসারী ধরনের হয় না। নিয়মিত প্রতিফলনের ফলে বস্তুকে উজ্জ্বল দেখায়, অপরদিকে ব্যাপ্ত প্রতিফলনের ফলে বস্তুকে অনুজ্জ্বল দেখায়। 

প্রশ্ন ৯। প্রতিফলন পৃষ্ঠে লম্বভাবে আপতিত রশ্মির ক্ষেত্রে প্রতিফলন কোণের মান শূন্য হয় কেন? 
উত্তর : আলোর প্রতিফলনের ২য় সূত্র হলো আপতন কোণ = প্রতিফলন কোণ ৷ প্রতিফলক পৃষ্ঠে আলোক রশ্মি লম্বভাবে আপতিত হলে আপতন কোণের মান শূন্য হয়। এজন্য আলোর প্রতিফলনের ২য় সূত্রানুসারে প্রতিফলন কোণের মান শূন্য হয়। 

প্রশ্ন ১২। একই আকারের কাচ টুকরার চেয়ে হীরক বেশি উজ্জ্বল দেখায় কেন? ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : আমাদের চারপাশে যে সকল বস্তু দেখতে পাই তাদের অধিকাংশই মসৃণ নয়। ফলশ্রুতিতে আমাদের চোখে যে সকল প্রতিফলিত রশ্মি প্রবেশ করে তারা ব্যাপ্ত প্রকৃতির। ফলে বস্তুগুলো আমাদের চোখে উজ্জ্বল এবং অনুজ্জ্বল দেখায়। গ্লাস বা কাচ অপেক্ষা হীরকের তল মসৃণ। তাই হীরক হতে প্রতিফলিত রশ্মি গ্লাস বা কাচ হতে প্রতিফলিত রশ্মি অপেক্ষা উজ্জ্বলতর হয়। তাই এক টুকরো কাচ অপেক্ষা এক টুকরো হীরক বেশি উজ্জ্বল। 

প্রশ্ন ১০। ব্যাপ্ত প্রতিফলনে বস্তুগুলো অনুজ্জ্বল দেখায় কেন? 
উত্তর : একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোক রশ্মি কোনো তলে আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর যদি সমান্তরাল না থাকে বা অভিসারী বা অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত না হয়, তবে এ ধরনের প্রতিফলনকে ব্যাপ্ত প্রতিফলন বলে। যেসব বস্তু থেকে ব্যাপ্ত প্রতিফলন ঘটে তাদের পৃষ্ঠতল অমসৃণ হয়। আপতিত রশ্মিগুলো এই তলের বিভিন্ন বিন্দুতে 

প্রশ্ন ১৩। সমতল দর্পণে লম্বভাবে আপতিত আলোক রশ্মি একই পথে ফিরে আসে কেন? 
উত্তর : সমতল দর্পণে কোনো আলোক রশ্মি লম্বভাবে আপতিত হলে আপতন বিন্দুতে প্রতিফলনের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সরলরেখায় থাকে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আপতন কোণ শূন্য। একই সাথে প্রতিফলন কোণও শূন্য হওয়ায় আলোক রশ্মি অভিলম্ব বরাবর অর্থাৎ আপতিত রশ্মির দিকে ফিরে আসে। 

প্রশ্ন ১৫। স্পর্শ না করে কীভাবে দর্পণ শনাক্ত করা যায়?
উত্তর : স্পর্শ না করেও দর্পণ অবতল, উত্তল না সমতল তা চিহ্নিত করা যায়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকার দর্পণে সৃষ্ট বিশ্বের বৈশিষ্ট্য জানতে হবে। কোনো দর্পণের একেবারে নিকটে একটি আঙুল খাড়াভাবে স্থাপন করলে যদি সোজা বিশ্ব লক্ষ্যবস্তুর চেয়ে বড় হয় তাহলে দর্পণটি অবতল। আবার, দর্পণের একেবারে নিকটে একটি আঙুল স্থাপন করলে যদি বিম্ব ছোট হয় তাহলে দর্পণটি উত্তল এবং বিশ্ব লক্ষ্যবস্তুর সমান হলে দর্পণটি সমতল কর। 

প্রশ্ন ১৬। গোলীয় দর্পণে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন হয়- ব্যাখ্যা (বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, চট্টগ্রাম | উত্তর : যদি একগুচ্ছ সমান্তরাল রশ্মি প্রতিফলনের পর সমান্তরাল থাকে তবে সেই প্রতিফলনকে নিয়মিত প্রতিফলন বলে। এখন গোলকীয় ভল মসৃণ হলে এতে একগুচ্ছ সমান্তরাল রশ্মি প্রতিফলনের পর সমান্তরাল থাকে। সুতরাং নিয়মিত প্রতিফলনের সংজ্ঞানুযায়ী গোলীয় দর্শশে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন হয়।

প্রশ্ন ১৭। উত্তল আয়নাকে অপসারী আয়না বলা হয় কেন? 
উত্তর : সমান্তরাল আলোকরশ্মি উত্তল আয়নায় আপতিত হয়ে প্রতিফলিত হওয়ার পর অপসারী রশ্মি গুচ্ছে পরিণত হয় অর্থাৎ ছড়িয়ে পড়ে এবং কখনোই মিলিত হয় না বলে উত্তল আয়নাকে অপসারী আয়না বলা হয়। 
প্রশ্ন ১৮। উত্তল দর্পণের সাহায্যে বাস্তব বিশ্ব গঠন করা যায় না কেন? ব্যাখ্যা কর। [চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম) উত্তর : উত্তল দর্পণ সর্বদাই অবাস্তব বিশ্ব গঠন করে। কারণ, এই দর্পণের ক্ষেত্রে প্রতিফলিত রশ্মিগুলো প্রকৃতপক্ষে কোথাও মিলিত হয় না। এদেরকে পেছনের দিকে বর্ধিত করলে কোনো বিন্দু থেকে আসছে বলে মনে হয়। 

প্রশ্ন ১৯। অবতল আয়না একটি অভিসারী আয়না কেন? 
উত্তর : সমান্তরাল এক গুচ্ছ আলোক রশ্মি প্রতিফলন বা প্রতিসরণের পর এক বিন্দুতে মিলিত হলে তাকে অভিসারী আয়না বলে। অবতল আয়নায় একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোক রশ্মি প্রতিফলিত হয়ে একটি বিন্দুতে অভিসৃত বা মিলিত হয়। তাই এটি একটি অভিসারী আয়না। 

প্রশ্ন ২২। দন্ত চিকিৎসকগণ কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করেন? 
উত্তর : দন্ত চিকিৎসকগণ অবতল দর্পণ ব্যবহার করেন। কারণ অবতল দর্পণ অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ সৃষ্টি করতে বা কোনো বস্তুর বিবর্ধিত বিশ্ব সৃষ্টি করতে পারে। সুবিধাজনক আকৃতির অবতল দর্পণ ব্যবহার করে চিকিৎসকগণ মুখের ভিতরের বিবর্ধিত বিম্ব দেখতে পান ফলে তাদের কাজ তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে যায়।

প্রশ্ন ২৩। গাড়ির সাইড ভিউ মিরর হিসেবে উত্তল আয়না ব্যবহার করা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : গাড়ির সাইড ভিউ মিরর হিসেবে উত্তল আয়না ব্যবহার করা হয়। ব্যাখ্যা : উত্তল আয়নায় সর্বদা অবাস্তব, সোজা ও খর্বিত প্রতিবিম্ব গঠিত হয় বলে, এটি গাড়ির সাইড ভিউ মিরর হিসেবে উপযুক্ত। কেননা গাড়ি চালানোর সময় পেছনের যানবাহন ও পথচারিদের গতিবিধি দেখার জন্য অল্প জায়গায় বিস্তৃত জায়গার ছবি দেখার প্রয়োজন পড়ে। তাই এক্ষেত্রে উত্তল আয়না ব্যবহার করা হয়। 

প্রশ্ন ২৪। পাহাড়ী রাস্তার বাঁকগুলোতে 45° কোণে বড় আকারের সমতল দর্পণ বসানো থাকে কেন? 
উত্তর : পাহাড়ী রাস্তায় গাড়ি চালনার জন্য অনেক সময় 90° কোণে বাঁক নিতে হয়। এই বাঁক নেওয়ার সময় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। অদৃশ্য বাঁকে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির চালক পরস্পরকে দেখতে পান না, এছাড়া বাঁকের অপর পাশে কী আছে তা আদৌ তারা জানেন না। এ সমস্যা সমাধানের জন্য বিপজ্জনক বাঁকে 45° কোণে বৃহৎ আকৃতির সমতল দর্পণ বসানো হয়। এর ফলে গাড়িচালকগণ বাকের আশেপাশে সবকিছু দেখতে পান এবং নিরাপদে গাড়ি চালাতে সক্ষম হন।

প্রশ্ন ২৫। গাড়িতে আয়না ব্যবহার করা হয় কেন? 
উত্তর : গাড়িতে আয়নার নানাবিধ ব্যবহার জীবন বাঁচায়। পাহাড়ী রাস্তার বাঁকে দুর্ঘটনা এড়াতে সমতল আয়না ব্যবহার করা হয়। পেছনের যানবাহন বা পথচারী দেখার জন্য গাড়িতে ভিউ মিরর হিসেবে উত্তল আয়না ব্যবহৃত হয়। আয়নার ব্যবহার এভাবে দুর্ঘটনা থেকে জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে। তাই গাড়িতে আয়না ব্যবহার করা হয়। 

Post a Comment

Previous Post Next Post