SSC জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর PDF ( A+) ১০০% কমন উপযোগী

SSC জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর। জীববিজ্ঞান A+ পাওয়া পানির মত সহজ করে তুলবে এই প্রশ্নগুলি। ১০০% কমন উপযোগী। এই প্রশ্নগুলো শিখে রাখলে পরীক্ষা ইনশাল্লাহ কমন পড়বে। কারণ এখানে বাছাইকৃতভাবে বিভিন্ন নামিদামি ক্যাডেট স্কুল এবং বোর্ড বিশ্লেষণ করে প্রশ্নগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে। নবম দশম শ্রেণীর জীববিজ্ঞান প্রশ্নের উত্তর নিম্নে

SSC জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ১। হিস্টোলজি ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস এবং কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে হিস্টোলজি বা টিস্যুবিদ্যা বলে। এটি জীববিজ্ঞানের একটি ভৌত শাখা । 

প্রশ্ন ২। শারীরবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের মৌলিক শাখা বলা হয় কেন? 
উত্তর : জীববিজ্ঞানের যে শাখায় তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ভৌত জীববিজ্ঞান বলে। শারীরবিদ্যায় জীবদেহের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জৈব রাসায়নিক কার্যাদি যেমন– শ্বসন, রেচন, সালোকসংশ্লেষণ ইত্যাদি আলোচিত হয়। এ প্রক্রিয়াগুলো প্রতিটি জীবের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলো সবই শারীরবিদ্যার তত্ত্বীয় বিষয়াবলি। এ কারণে শারীরবিদ্যাকে জীব বিজ্ঞানের মৌলিক শাখা বলা হয়। 

প্রশ্ন ৩। চিকিৎসাবিজ্ঞানকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কেন?
উত্তর : ফলিত জীববিজ্ঞান শাখায় রয়েছে জীবন-সংশ্লিষ্ট প্রয়োগিক বিষয়গুলো। চিকিৎসাবিজ্ঞান হলো মানবদেহ, রোগ, চিকিৎসা ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান যা প্রয়োগিক বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রায়োগিক বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত তাই চিকিৎসাবিজ্ঞানকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কর। 

প্রশ্ন ৪। কীটতত্ত্বকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলা হয় কেন?
উত্তর : জীববিজ্ঞানের কীটতত্ত্ব শাখায় কীটপতঙ্গের জীবন, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি দমন ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। যেহেতু কীটতত্ত্বে তত্ত্বীয় বিষয় আলোচনা না করে কীটপতঙ্গ সম্পর্কিত প্রায়োগিক বিষয় আলোচনা করা হয়, সেহেতু কীটতত্ত্বকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলা হয়। 

প্রশ্ন ৫। মানুষকে হেটারোট্রফিক বলা হয় কেন? 
উত্তর : যেসকল উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিজের তৈরি করতে পারে সেগুলো হলো অটোট্রফিক অর্থাৎ স্বভোজী। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার জন্য ক্লোরোফিল অত্যাবশ্যক। মানুষের দেহে ক্লোরোফিল নেই এবং সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিজের খাদ্য তৈরি করতে পারে না। কারণে মানুষকে হেটারোট্রফিক বা পরভোজী বলা হয়। 

প্রশ্ন ৬। ইস্ট স্বভোজী নয় কেন? ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : ইস্ট এর দেহ মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত। এর নিউক্লিয়াস সুগঠিত এবং ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত। কোষপ্রাচীর কাইটিন বস্তু দিয়ে গঠিত। ইস্ট মৃতজীবী বা পরজীবী এবং শোষণ পদ্ধতিতে এটি খাদ্যগ্রহণ করে। তাই ইস্ট দ্বভোজী নয়। 

প্রশ্ন ৭। Nostoc-কে আদিকোষী বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : Nostoc-কে আদিকোষী বলা হয় কারণ এদের কোষে কোন সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না। এদের কোষের নিউক্লিয়াস কোনো পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে না। এছাড়াও এদের কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি অঙ্গাণুও থাকে না। 

প্রশ্ন ৮। অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্গত? কেন? কি.
উত্তর : প্রোটিস্টা রাজ্যের কিছু বৈশিষ্ট্য ধারণ করায় অ্যামিবা প্রোটিস্টা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীব। কারণ— 
১. অ্যামিবা এককোষী, কিন্তু সুগঠিত নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট। 
২. খাদ্য গ্রহণ শোষণ, গ্রহণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতি ঘটে 
৩.কোনো ভ্রূণ গঠিত হয় না। 

প্রশ্ন ৯। ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা জগতে অন্তর্ভুক্তির কারণ ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা জগতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কারণ, ব্যাকটেরিয়া এককোষী, প্রাককেন্দ্রিক অর্থাৎ এদের সুগঠিত নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। ব্যাকটেরিয়া কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, ER ইত্যাদি নেই। তাছাড়া এদের কোষ বিভাজন দ্বি-বিভাজন প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে এবং কিছু সংখ্যক ব্যাকটেরিয়া কেমেসিনথেটিক প্রকৃতির। দিনে

প্রশ্ন ১০। প্লান্টি রাজ্যের জীবদের হেটেরোট্রফিক কেন বলা হয় না, ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্লান্টি রাজ্যের জীবদের হেটেরোট্রফিক বলা হয় না কারণ এদের কোষে কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড এবং কোষগহ্বর আছে। প্লাস্টিড থাকার কারণে এরা স্বভোজী এবং খাদ্য গলাধঃকরণ করে না। তাই প্লান্টি রাজ্যের জীবদের হেটেরোট্রফিক বলা হয় না। 

প্রশ্ন ১১। বংশগতিবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন? 
 উত্তর : জীববিজ্ঞানের যে শাখায় তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ভৌত জীববিজ্ঞান বলে। বংশগতিবিদ্যায় জীবের বংশগত গুণাবলি কীভাবে এক বংশ থেকে অন্য বংশে সঞ্চারিত হয় তার রীতিনীতি, সংকর প্রজনন, পরিব্যক্তি, প্রকরণ সৃষ্টির কারণ ইত্যাদি প্রক্রিয়াগুলো আলোচিত হয়। এ প্রক্রিয়াগুলো প্রতিটি জীবের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলো সবই বংশগতিবিদ্যার তত্ত্বীয় বিষয়াবলি। এ কারণে বংশগতিবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয়। আলোকপাত করে আহরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা, পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা এবং প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা, সর্বোপরি জীবজগৎ ও মানব কল্যাণে প্রয়োজনীয় জীবসমূহকে শনাক্ত করে তাদের সংরক্ষণ অথবা প্রজাতিগত সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া। এ জন্যই শ্রেণিবিন্যাম বিদ্যা প্রয়োজন । 

প্রশ্ন ১৩। মানুষের প্রজাতি sapiens বলার কারণ ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : মানুষের প্রজাতি sapiens বলার কারণ ব্যাখ্যা করা হলোমানুষের কপাল চওড়া এবং খাড়া, খুলির হাড় Homo গণের অন্য প্রজাতির তুলনায় পাতলা এবং বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে উন্নত হওয়ার কারণে মানুষের প্রজাতি sapiens. 

প্রশ্ন ১৪। নেস্টেড হায়ারার্কি বলতে কী বোঝ
উত্তর : একটি জীবকে প্রজাতি পর্যায়ে বিন্যাসে সাতটি ধাপ আছে। এই ধাপগুলোর উপরের ধাপ বড় সেট এবং তার নিচের ধাপ হলো তার উপসেট। যেমন— রাজ্যের উপসেট পর্ব, পর্বের উপসেট শ্রেণি, শ্রেণির উপসেট বর্গ ইত্যাদি। শ্রেণিবিন্যাসের এই পদ্ধতিকে বলে নেস্টেড হায়ারার্কি। 

প্রশ্ন ১৫। দ্বিপদ নামকরণ বলতে কী বোঝায়? 
উত্তর : গণ নামের শেষে একটি প্রজাতিক নাম যুক্ত করে দুটি পদের (শব্দের) মাধ্যমে ICBN এর নীতিমালা অনুসারে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির জন্য একটি নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক নাম প্রদান করাকে বলা হয় দ্বিপদ নামকরণ। সুইডিশ প্রকৃতি বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসকে দ্বিপদ নামকরণের জনক বলা হয়। 

প্রশ্ন ১৬ ৷ বৈজ্ঞানিক নামের গুরুত্ব আলোচনা কর।
উত্তর : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভাষা বিভিন্নরকম। কোনো একটি জীব ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন নাতে পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নামের মাধ্যমে যেকোনো প্রজাতি একটি নির্দিষ্ট নামে সারা বিশ্বে পরিচিত হয়। তাই জীবের নামকরণের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক নাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

প্রশ্ন ১৭। দ্বিপদ নামকরণ কেন চালু করা হয়েছিল?
উত্তর : দ্বিপদ নামকরণ চালুর কারণ হলো
১. অসংখ্য উদ্ভিদের মধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্ভিদকে সহজে শনাক্ত করার জন্য।
২. তালিকাভুক্ত উদ্ভিদগুলোর সঠিক নাম ও পরিচয় জানার জন্য । 
৩. একটি উদ্ভিদের অন্য উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ গোষ্ঠীর পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নির্ণয় করার জন্য। 

প্রশ্ন ১২। শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা প্রয়োজন কেন? 
উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের প্রধান উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করা। জীবজগতের বিভিন্নতার প্রতি ৪. উপকারী ও অপকারী উদ্ভিদ এবং উদ্ভিদের অর্থনৈতিক গুরুত্ব সহজেই জানার জন্য। 

SSC জীববিজ্ঞান ১ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
আরো যে সকল বিষয়গুলো জানতে পারবেন, নবম-দশম/SSC জীববিজ্ঞান অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর। নবম-দশম/SSC  জীববিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর। নবম-দশম/SSC  জীববিজ্ঞান বহুনির্বাচনী প্রশ্ন উত্তর। নবম দশম শ্রেণী জীববিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর।জীববিজ্ঞান জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর। জীববিজ্ঞান mcq । নবম-দশম শ্রেণীর জীববিজ্ঞান সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর। জীববিজ্ঞান সকল অধ্যায়ের mcq

জীববিজ্ঞান সকল অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

Post a Comment

Previous Post Next Post