SSC পদার্থবিজ্ঞানের ৫ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ( PDF A+১০০% কমন উপযোগী প্রশ্ন )

SSC পদার্থবিজ্ঞানের ৫ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর। পদার্থবিজ্ঞানে A+ পাওয়া পানির মত সহজ করে তুলবে এই প্রশ্নগুলি। ১০০% কমন উপযোগী। এই প্রশ্নগুলো শিখে রাখলে পরীক্ষা ইনশাল্লাহ কমন পড়বে। কারণ এখানে বাছাইকৃতভাবে বিভিন্ন নামিদামি ক্যাডেট স্কুল এবং বোর্ড বিশ্লেষণ করে প্রশ্নগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে। নবম দশম শ্রেণীর পদার্থবিজ্ঞানের অনুধাবনমূলক

SSC পদার্থবিজ্ঞানের ৫ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। ধারালো আলপিন দিয়ে কাগজ ছিদ্র করা সহজ কেন?  
উত্তর : আমরা জানি, ধারালো আলপিনের শীর্ষবিন্দুর ক্ষেত্রফল খুবই কম। ফলে, এতে চাপের পরিমাণ খুব বেশি হয়। কারণ, চাপ ক্ষেত্রফলের ব্যস্তানুপাতিক। এতে চাপের মান বেশি হয় বলেই কাগজ ছিদ্র করা সহজ।

প্রশ্ন ২। সমান 'ইটের রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটা এবং ইটের খোয়ার উপর দিয়ে হাঁটা কোনটি কষ্টসাধ্য ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : সমান ইটের রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটা এবং ইটের খোয়ার উপর দিয়ে হাঁটার মধ্যে ইটের খোয়ার উপর দিয়ে হাঁটা কষ্ট সাধ্য। কারণ ইটের খোয়ার উপর দিয়ে হাঁটার সময় পায়ের নিচের তালুর খুব কম ক্ষেত্রফলের উপর খোয়া কর্তৃক প্রতিক্রিয়া বল প্রযুক্ত হয়। ফলে অনেক বেশি চাপ পড়ে ও ব্যথা অনুভূত হয়। এজন্য ইটের খোয়ার উপর দিয়ে হাঁটা কাষ্টসাধ্য হয়। 

প্রশ্ন ৩। বেড়িবাঁধ তৈরি করার সময় বাঁধের উপরের অংশ অপেক্ষা নিচের অংশ চওড়া রাখা হয় কেন? 
উত্তর : আমরা জানি, তরলের অভ্যন্তরে কোনো বিন্দুতে চাপ তরলের গভীরতার সমানুপাতিক। অর্থাৎ গভীরতা যত বেশি চাপের পরিমাণও তত বেশি হবে। আর তরলে চাপের মান বেশি হলে তার পার্শ্বচাপও বেশি হবে। ফলে বেড়িবাঁধের ক্ষেত্রে উপরের অংশ থেকে নিচের অংশে পানির চাপ বেশি থাকে। এই অতিরিক্ত চাপ থেকে বাঁধকে রক্ষা করার জন্যই বাঁধ তৈরি করার সময় উপরের অংশ থেকে নিচের অংশ চওড়া রাখা হয়। 

প্রশ্ন ৪। একটি চাকুর এক পার্শ্ব ধারালো করা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমরা জানি, চাপ ক্ষেত্রফলের ব্যস্তানুপাতিক। অর্থাৎ ক্ষেত্রফল বেশি হলে চাপ কম হয় এবং ক্ষেত্রফল কম হলে চাপ বেশি হয়। ছুরির একপাশে ধারালো করলে তার ক্ষেত্রফল অন্য পাশের তুলনায় কম হয়। তার ক্ষেত্রফল কম থাকার কারণে বেশি চাপ পড়ে ফলে কাটতে সুবিধা হয় । এজন্য ছুরির একপাশ ধারালো হয়। 

প্রশ্ন ৫। ঘনত্ব বস্তুর তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : ঘনত্ব বস্তুর তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে, পদার্থের আয়তন বৃদ্ধি পায়। তাপ দিলে বস্তুর আন্তঃআণবিক শক্তি হ্রাস পায় এবং পরস্পর থেকে দূরে সরে যায়। অর্থাৎ, আয়তন বৃদ্ধি পায় এবং ঘনত্ব হ্রাস পায়। এবং তাপমাত্রা হ্রাস করলে আন্তঃআণবিক শক্তি বেড়ে যায় এবং আয়তন কমে যায়। ফলে বস্তুর ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। তাপমাত্রা, T ও ঘনত্ব p হলে, Tc = প্রশ্ন ৮। লঞ্চ নদী থেকে ১৫১ কম হলে ঘনত্ব বেশি হয়। প্রচন্ড রোদে পুকুরের উপরের পানির তাপমাত্রা নিচের পানির তাপমাত্রার চেয়ে বেশি থাকে। তাই উপরের পানির ঘনত্ব নিচের পানি অপেক্ষা কম হয়। অতএব বলা যায়, তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে প্রচণ্ড রোদে পুকুরের উপরের ও নিচের পানির ঘনত্বের তারতম্য হয়। 

প্রশ্ন ৬। নদীর পানি অপেক্ষা সাগরের পানিতে সাঁতার কাটা সহজতর কেন? 
উত্তর : সাগরের পানিতে লবণ ও অন্যান্য অপদ্রব্য মিশ্রিত থাকে। ফলে এ পানির ঘনত্ব প্রায় 1024 kgm- যা নদীর পরিষ্কার পানির ঘনত্ব (প্রায় 1000 kg m3) অপেক্ষা বেশি। ফলে সাগরের পানির প্লবতা নদীর পানির প্লবতা অপেক্ষা বেশি হয়। এ কারণে নদী অপেক্ষা সাগরের পানিতে সাঁতার কাটা সহজ হয়। 

প্রশ্ন ৭: লঞ্চ নদী থেকে সাগরে গেলে একটু বেশি ভেসে উঠে কেন?
উত্তর : লঞ্চ নদী থেকে সাগরে গেলে একটু বেশি ভেসে ওঠে প্লবতার কারণে। কারণ নদীর পানির ঘনত্ব অপেক্ষা সাগরের পানির ঘনত্ব বেশি। ফলে লঞ্চ নদীতে থাকা অবস্থায় প্লবতা কম এবং সাগরে গেলে প্লবতা বেড়ে যায়। ফলে লঞ্চ সাগরে একটু বেশি ভেসে ওঠে।

প্রশ্ন ৮। পানির ঘনত্ব 1gcm বলতে কী বুঝায়? 
উত্তর : পানির ঘনত্ব 1gcm বলতে বুঝায় । ঘন সে.মি. পানির ভর 1gm অর্থাৎ । সে.মি. দৈর্ঘ্য । সে.মি. প্রস্থ ও । সে.মি. উচ্চতা বিশিষ্ট কোনো পাত্রে পানি রাখলে তার ভর হবে এক গ্রাম 

প্রশ্ন ৯। নির্দিষ্ট গভীরতায় চাপ তরলের প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল— ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : তরল পদার্থের ভিতরে কোনো বিন্দুতে চাপ বলতে ঠিক ঐ বিন্দুর চারদিকে প্রতি একক ক্ষেত্রফলের উপর লম্বভাবে অনুভূত বলকে বোঝায় । এখন, p ঘনত্ব বিশিষ্ট তরলের গভীরতার চাপ p হলে, আমরা জানি, p = hpg এখানে, g অভিকর্ষজ ত্বরণ, এখন নির্দিষ্ট গভীরতার জন্য h ওg এর মান অপরিবর্তনীয় থাকে। ফলে pap হয়। সুতরাং, নির্দিষ্ট গভীরতায় চাপ তরলের ঘনত্ব অর্থাৎ তরলের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। 

প্রশ্ন ১০। কোনো বস্তুকে তরলে নিমজ্জিত করলে ওজন হারায় বলে মনে হয় কেন- ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : আমরা জানি, কোনো বস্তুকে তরলে নিমজ্জিত করলে তরল বস্তুটির উপর একটি ঊর্ধ্বমুখী বল বা প্লবতা প্রয়োগ করে। বস্তুর ওজন ও গ্লবতা একই সরলরেখায় বিপরীত দিকে ক্রিয়া করায় তরলে বস্তুর ওজন হ্রাস পায়। এজন্যই কোনো বস্তুকে তরলে নিমজ্জিত করলে ওজন হারায় বলে মনে হয়। 

প্রশ্ন ১১। গভীর পানিতে ডুব দেওয়া কানের জন্য ক্ষতিকর কেন?
উত্তর : নির্দিষ্ট স্থানে পানির অভ্যন্তরে চাপ পানির গভীরতার সমানুপাতিক অর্থাৎ গভীরতা বাড়ার সাথে সাথে পানির চাপ বৃদ্ধি পায়। গর্ভীর পানিতে ডুব দিলে বর্ধিত চাপ কানের পর্দার জন্য হুমকীকারক এমনকি পর্দা ফেটেও যেতে পারে। তাই গভীর পানিতে ডুব দেওয়া কানের জন্য ক্ষতিকর। 

প্রশ্ন ১২। উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে বায়ুমণ্ডলীয় চাপ হ্রাস পায় কেন? ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : বায়ুমণ্ডলীয় চাপ নির্ভর করে বায়ুমণ্ডলের উচ্চতা এবং বায়ুর ঘনত্বের উপর। ভূপৃষ্ঠে অর্থাৎ সমুদ্র সমতলে বায়ুর সাধারণ চাপ হলো 76 cm পারদ স্তম্ভের চাপের সমান। ভূপৃষ্ঠের সমুদ্র সমতল থেকে যত উপরে উঠা যায় তত বায়ুস্তম্ভের ওজন এবং ঘনত্ব উভয়ই হ্রাস পায়। এজন্য উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুমণ্ডলীয় চাপ হ্রাস পায়।

প্রশ্ন ১৩। বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়লে চাপ কমে যায় কেন? ব্যাখ্যা কর
উত্তর : বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেলে জলীয় বাষ্প বাতাসের অধিকতর ভারী উপাদান যেমন নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের জায়গা দখল করে। ফলে ঐ স্থানের বাতাসের ওজন হ্রাস পায় বলে ঐ স্থানের বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কমে যায়। কর। 

প্রশ্ন ১৪। বায়ুমণ্ডলীয় চাপে মানবদেহের আকৃতির পরিবর্তন ঘটে না কেন? 

উত্তর : বায়ুর ওজন আছে বলে এর চাপ আছে, যা বায়ুমণ্ডলীয় চাপ নামে পরিচিত। মানবদেহের ভিতরে রক্তের চাপ বায়ুমণ্ডলীয় চাপ অপেক্ষা সামান্য বেশি। রক্তের চাপ বায়ুমণ্ডলীয় চাপ অপেক্ষা বেশি হওয়ার করণে বায়ুমণ্ডলীয় চাপে মানবদেহের আকৃতির কোনো পরিবর্তন হয় না। 

প্রশ্ন ১৫। টরিসেলির শূন্যস্থান বলতে কী বুঝ? 

উত্তর : বায়ুর চাপ পরিমাপ করার ব্যারোমিটার যন্ত্রের কাঁচনলে যে পারদস্তম্ভ দাঁড়িয়ে থাকে তার উপর নলের বদ্ধ প্রান্ত পর্যন্ত শূন্য। এ শূন্যস্থানকে টরিসেলির শূন্যস্থান বলে। প্রকৃতপক্ষে এ শূন্যস্থানে সামান্য পারদ বাষ্প থাকে। 

প্রশ্ন ১৬। কোনো স্থানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমণ্ডলীয় চাপের পরিবর্তন ঘটে কেন? 

উত্তর : সময়ের সাথে বায়ুর ঘনত্বের পরিবর্তনের জন্য বায়ুমণ্ডলীয় চাপের পরিবর্তন ঘটে। সময়ের সাথে বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণের হ্রাসবৃদ্ধি হয়! জলীয় বাষ্পের হ্রাসবৃদ্ধির কারণে বায়ুর ঘনত্বের পরিবর্তন হয়। ফলে বায়ুমণ্ডলীয় চাপের পরিবর্তন ঘটে। 

প্রশ্ন ১৭ । পীড়ন ও ইয়াংস মডুলাসের একক একই কেন? ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : আমরা জানি, ইয়াংস মডুলাস – পীড়ন বিকৃতি এখন বিকৃতি একই জাতীয় দুটি রাশির অনুপাত হওয়ায় এর কোনো একক নেই। তাই উপরোক্ত সম্পর্ক অনুসারে পীড়নের এককই ইয়াংস মডুলাসের একক। 

প্রশ্ন ২৮। কোনো পদার্থের স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্ক 2. Nm¯” বলতে কী বুঝ? 
উত্তর : কোনো পদার্থের স্থিতিস্থাপক গুণাংক 2 Nm বলতে বোঝায়, 1 m প্রস্থচ্ছেদ এর ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট কোনো পদার্থের একক দৈর্ঘ্য বিকৃতির জন্য দৈর্ঘ্য বরাবর 2 N বল প্রয়োগের প্রয়োজন হবে। 

প্রশ্ন ২৯। পদার্থের প্লাজমা অবস্থা বলতে কী বুঝ? 
উত্তর : পদার্থের চতুর্থ অবস্থার নাম প্লাজমা। এই প্লাজমা হলো অতি উচ্চ তাপমাত্রায় আয়নিত গ্যাস। প্লাজমার বড় উৎস হচ্ছে সূর্য। তাছাড়া অন্যান্য নক্ষত্রগুলোও প্লাজমার উৎস। প্রায় কয়েক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্লাজমা অবস্থার উৎপত্তি হয়। গ্যাসের ন্যায় প্লাজমার কোনো নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন নেই। প্লাজমা কণাগুলো তড়িৎ আধান বহন করে তাই প্লাজমা তড়িৎ পরিবাহী হিসেবে কাজ করে। শিল্প কারখানার প্লাজমা টর্চ দিয়ে ধাতব পদার্থ কাটা হয়।                                                

Post a Comment

Previous Post Next Post