SSC পদার্থবিজ্ঞানের ১ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

SSC পদার্থবিজ্ঞানের ১ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

SSC পদার্থবিজ্ঞানের ১ম অধ্যায়েকে বিশ্লেষণ করলে অনেকগুলো অনুধাবনমূলক প্রশ্ন পাওয়া যায় তার ভিতর বাছাইকৃত ও গুরুত্বপূর্ণ।SSC পদার্থবিজ্ঞানের ১ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর। নিম্নে দেওয়া হলো

প্রশ্ন ১। পদার্থবিজ্ঞানের প্রধান শাখাগুলো কী কী? 
উত্তর : পাঠের সুবিধার জন্য পদার্থবিজ্ঞানকে কতকগুলো শাখায় বিভক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রধান শাখাগুলো নিম্নরূপ১. বলবিজ্ঞান, ২. তাপ ও তাপগতিবিজ্ঞান, ৩. শব্দ বিজ্ঞান, ৪. আলোকবিজ্ঞান, ৫. তাড়িতচৌম্বক বিজ্ঞান, ৬. কঠিন অবস্থার পদার্থবিজ্ঞান,৭. পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান, ৮. নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞান, ৯. কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান, ১০. ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি। 

প্রশ্ন ২। যুক্তিতর্ক, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ এই তিনটি পদ্ধতির কোনটিকে তুমি বিজ্ঞান গবেষণার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করো? কেন? 
উত্তর : যুক্তি-তর্ক, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ এ তিনটি পদ্ধতির মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে আমি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। কারণ, যুক্তি-তর্ক সঠিক কি-না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করতে হয়। আর পর্যবেক্ষণ হচ্ছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরবর্তী ধাপ। পরীক্ষানিরীক্ষা সঠিক না হলে পর্যবেক্ষণ মূল্যহীন।  

প্রশ্ন ৩। পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন একটি প্রকৃষ্ট মানবিক প্রশিক্ষণ কেন বলা হয়েছে? 
উত্তর : পদার্থবিজ্ঞান পাঠে নতুন ধারণা সৃষ্টি হয়। কি করে চিন্তা করতে হয় কারণ দর্শাতে হয়। যুক্তি দিতে হয় কিভাবে যুক্তিবিজ্ঞান ও গণিতকে কাজে লাগে তা পদার্থবিজ্ঞান আমাদের শিখিয়ে থাকে। এটি আমাদের কল্পনাকে উদ্দীপ্ত করে এবং চিন্তা শক্তির বিকাশ ঘটায়। এজন্যই পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন একটি প্রকৃষ্ট মানবিক প্রশিক্ষণ

প্রশ্ন ৪। পদার্থবিজ্ঞানের উদ্দেশ্যগুলো লেখ। 
উত্তর : পদার্থবিজ্ঞানের উদ্দেশ্যগুলো হলো
১. প্রকৃতির রহস্য উদঘাটন করা। 
২. প্রকৃতির নিয়ম বর্ণনা করা। 
৩. মৌলিক সূত্রগুলোর অনুসরণে প্রযুক্তির উন্নয়ন ইত্যাদি। 

প্রশ্ন ৫। কোনো রাশির পরিমাণ প্রকাশ করতে এককের প্রয়োজন হয়  
উত্তর : আমরা জানি, যেকোনো পরিমাপের জন্য প্রয়োজন একটি স্ট্যান্ডার্ড বা আদর্শ পরিমাণ যার সাথে তুলনা করে পরিমাপ করা যায়। এ আদর্শ পরিমাণই হলো পরিমাপের একক। একক ব্যতীত প্রাত্যহিক জীবনে কোনো প্রকার লেনদেন সম্ভব নয়। তাই কোনো রাশিয় পরিমাণ প্রকাশ করতে এককের প্রয়োজন হয়। 

প্রশ্ন ৬। সঠিক পরিমাপের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : কোনো কিছুর পরিমাণ নির্ণয় করাকে পরিমাপ বলে। যেকোনো ভৌত সত্তা সম্পর্কে পরিমাণগত ধারণার জন্য সঠিক পরিমাপের প্রয়োজন। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা নানা রকম পরিমাপ করে থাকি। তবে পরিমাপ যদি সঠিক না হয় তাহলে অনেক বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। কারণ আমাদেরকে অনেক সময় অতি বৃহৎ বা অতি ক্ষুদ্র জিনিসও পরিমাপ করতে হয়। সেক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপের জন্য সঠিক পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। আবার সঠিক পরিমাপের জন্য পরিমাপের এককেরও ভূমিকা রয়েছে। সঠিকভাবে একক ব্যবহার না করলে সঠিক পরিমাপ পাওয়া যায় না। সুতরাং আমরা বলতে পারি আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সঠিক পরিমাপের বিকল্প নেই। 

প্রশ্ন ১০ । মাত্রা সমীকরণের প্রয়োজনীতা লেখ। 
উত্তর : পদার্থবিজ্ঞানে মাত্রা সমীকরণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। যেসব কারণে মাত্রা সমীকরণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে নিচে তা উল্লেখ করা হলো১. যেকোনো ভৌত রাশির একক নির্ণয় করা যায়। একককে এক পদ্ধতি থেকে অন্য পদ্ধতিতে রূপান্তর করা যায়। বিভিন্ন রাশির সমীকরণ গঠন করা যায়। যেকোনো ভৌত রাশির সমীকরণের নির্ভুলতা বা সতর্কতা যাচাই করা যায়। কোনো ভৌত সমস্যা সমাধান করা যায়। 

প্রশ্ন ১১। মিটার স্কেলের সাহায্যে বস্তুর সঠিক দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা যায় না কেন? 
উত্তর : একটা স্কেলে সবচেয়ে যে সূক্ষ্ম দাগ থাকে আমরা সে পর্যন্ত মাপতে পারি। মিটার স্কেল সাধারণত মিলিমিটার পর্যন্ত ভাগ করা থাকে, তাই মিটার স্কেল ব্যবহার করে আমরা কোনো কিছুর দৈর্ঘ্য মিলিমিটার পর্যন্ত মাপতে পারি। অর্থাৎ আমরা যদি বলি কোনোকিছুর দৈর্ঘ্য 0.3643 m তার অর্থ দৈর্ঘ্যটি হচ্ছে 36 সেন্টিমিটার এবং 4 মিলিমিটার। একটা মিটার স্কেল ব্যবহার করে এর চেয়ে সূক্ষ্মভাবে দৈর্ঘ্য মাপা সম্ভব নয়— অর্থাৎ সাধারণ ছেলে আমরা কখনোই বলতে পারব না একটা বস্তুর দৈর্ঘ্য 0.3643m কিন্তু মাঝে মাঝেই কোনো একটা অত্যন্ত দৃগ্ম কাজে আমাদের এ রকম সূক্ষ্মভাবে মাপা প্রয়োজন হয়, তখন ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করে সেটা করা যায়। অর্থাৎ মিটার স্কেলের সাহায্যে বস্তুর সঠিক দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা যায় না। 

প্রশ্ন ১২। দৈর্ঘ্যের সূক্ষ্ম ও নির্ভুল পরিমাপের জন্য কী ধরনের স্কেল ব্যবহার করা হয়? ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : দৈর্ঘ্যের সূক্ষ্ম ও নির্ভুল পরিমাপের জন্য স্লাইড ক্যালিপার্সে প্রধান ছেলের সাথে ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করা হয়। ব্যাখ্যা : প্রধান স্কেল বা মিটার স্কেলের সাহায্যে মিলিমিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা যায়। কিন্তু মিলিমিটারের ভগ্নাংশ যেমন, 0.2 মিলিমিটার বা 0.8 মিলিমিটার দৈর্ঘ্য মিটার স্কেলের সাহায্যে পরিমাপ করা যায় না। ভার্নিয়ার স্কেল বস্তুর দৈর্ঘ্য মিলিমিটারের ভগ্নাংশ পর্যন্ত প্রকাশ করে। তাই দৈর্ঘ্যের সূক্ষ্ম ও নির্ভুল পরিমাপ করতে প্রধান স্কেলের সাথে ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করা হয়। 

প্রশ্ন ১৩। ভ্রূগেজের পিচ 1mm বলতে কী বোঝায়? 
উত্তর : ক্রুগেজের বেলনাকৃতির টুপি একবার ঘুরালে এর যতটুকু সরণ ঘটে এবং এটি রৈখিক স্কেল বরাবর যে দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে তাকে ক্রুগেজের পিচ বলে। ভূগেজের পিচ 1 mm বলতে বোঝায় ক্রুগেজের টুপিটি একবার ঘুরালে এর । mm সরণ ঘটে এবং রৈখিক স্কেল বরাবর এটি । mm দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে। 

প্রশ্ন ১৪ । স্লাইড ক্যালিপার্সে ভার্নিয়ার স্কেল কেন ব্যবহার করা হয়? 
উত্তর : স্লাইড ক্যালিপার্সের প্রধান স্কেলের যে প্রান্তে শূন্য দাগ থাকে সেই প্রান্তে একটি ধাতব চোয়াল আটকানো থাকে। মূল স্কেলের ক্ষুদ্রতম ভগ্নাংশের নির্ভুল পরিমাপের জন্য মূল ছেলের গায়ে চোয়ালযুক্ত একটি ছোট স্কেল পরানো থাকে যার নাম ভার্নিয়ার স্কেল। প্রধান স্কেল বা মিটার স্কেলের সাহায্যে মিলিমিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা যায় । কিন্তু মিলিমিটারের ভগ্নাংশ যেমন, 0.2 মিলিমিটার বা 0.8 মিলিমিটার দৈর্ঘ্য মিটার স্কেলের সাহায্যে পরিমাপ করা যায় না। ভার্নিয়ার স্কেল বস্তুর দৈর্ঘ্য মিলিমিটারের ভগ্নাংশ পর্যন্ত প্রকাশ করে। তাই মিলিমিটারের ভগ্নাংশ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য নির্ভুলভাবে পরিমাপ করতে প্রধান স্কেলের সাথে ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহার করা হয়। 

প্রশ্ন ১৫। স্তূগজের ন্যূনাঙ্ক 0.02 mm বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : স্কুগজের নূন্যাঙ্ক 0.02 mm বলতে বুঝায় ধ্রুগজটি দ্বারা সর্বনিম্ন 0.02 mm পর্যন্ত নির্ভুলভাবে মাপা যাবে। সেহেতু স্ক্রুগজের পিচImm হয় ফলে ক্রুগজটির বৃত্তাকার স্কেলের ভাগ সংখ্যা n হলে, 1mm =50 
n 0.02mm ।

প্রশ্ন ১৬। ভার্নিয়ার সমপাতন 7 বলতে কী বুঝ? 
উত্তর : ভার্নিয়ার স্কেলের কোনো দাগ যদি প্রধান স্কেলের কোনো দাগের সাথে পুরোপুরি মিলে যায় অথবা কোনো দাগ যদি না মিলে তবে যে দাগের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করে, সে দাগই হবে ভার্নিয়ার স্কেলের ভার্নিয়ার সমপাতন। সুতরাং ভার্নিয়ার সমপাতন 7 বলতে বোঝায় ভার্নিয়ার স্কেলের দাগটি প্রধান স্কেলের 7 দাগের সাথে মিলে গেছে অথবা না মিললে নং দাগের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করছে। 

প্রশ্ন ১৭। ভিন্ন ভিন্ন দৈর্ঘ্যের পরিমাপে একই চূড়ান্ত ত্রুটি হলে যেটির দৈর্ঘ্য বেশি সেটির পরিমাপের সঠিকতা বেশি— ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর : চূড়ান্ত ত্রুটি হলো প্রকৃত মানের তুলনায় পরিমাপ করা মানের পার্থক্যটুকু। অর্থাৎ কোনো রাশি পরিমাপ করার সময় সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ত্রুটিকে চূড়ান্ত ত্রুটি বলে। ভিন্ন ভিন্ন দৈর্ঘ্য পরিমাপে একই চূড়ান্ত ত্রুটি হলে যেটির দৈর্ঘ্য বেশি সেটির ক্ষেত্রে ত্রুটির শতকরা হার তুলনামূলকভাবে কম হবে। আর যেটির দৈর্ঘ্য কম সেটির ক্ষেত্রে ত্রুটির শতকরা হার বেশি হবে। তাই এক্ষেত্রে বেশি দৈর্ঘ্যের পরিমাপটির সঠিকতা বেশি হবে। 

প্রশ্ন ১৮। একটি চিপসের প্যাকেটের গায়ে ( 10 ° 0.5)gm লেখা আছে। এর অর্থ কী? 
উত্তর : একটি চিপসের প্যাকেটে (10°0.5) gm লেখা থাকার অর্থচিপসের ভর 10 gm অপেক্ষা 0.5gm কম বা বেশি হতে পারে। অর্থাৎ, প্যাকেটটিতে সর্বোচ্চ 10.5 gm এবং সর্বনিম্ন 9.5 gm চিপস বা এর মধ্যে যেকোনো পরিমাণের চিপস থাকবে। 

Post a Comment

Previous Post Next Post