SSC রসায়ন ৩য় অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর PDF ( A+) ১০০% কমন উপযোগী

SSC রসায়ন ৩য় অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর। রসায়ন ৩য় অধ্যায়েকে বিশ্লেষণ করলে অনেকগুলো অনুধাবনমূলক প্রশ্ন পাওয়া যায় তার ভিতর বাছাইকৃত ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিম্নে দেওয়া হলো

SSC রসায়ন ৩য় অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। যৌগের আপেক্ষিক আণবিক ভরের ব্যাখ্যা দাও
উত্তর : কোনো মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের অণুতে যে পরমাণুগুলো থাকে তাদের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর নিজ নিজ পরমাণু সংখ্যা দিয়ে গুণ করে যোগ করলে প্রাপ্ত যোগফলই হলো ঐ অণুর আপেক্ষিক আণবিক ভর। যেমন HHO অণুতে উপস্থিত H এর আপেক্ষিক পরমাণবিক ভর 1.0 এবং পরমাণু সংখ্যা 20 পরমাণুর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 16 এবং পরমাণু সংখ্যা 1। সুতরাং H2O এর আপেক্ষিক আণবিক ভর = 1 x 2 + 16 = 18
প্রশ্ন ২। সালফারের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 32 বলতে কি বুঝ?
উত্তর : কোনো মৌলের একটি পরমাণুর ভরকে প্রমাণ হিসেবে ধরে তার সাপেক্ষে অপর কোনো মৌলের একটি পরমাণু কতগুণ ভারী এই আপেক্ষিক রাশিকে সংশ্লিষ্ট মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বলা হয়। সালফারের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 32 বলতে বোঝায় যে, সালফারের একটি পরমাণুর ভর হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর ভরের 32 গুণ (হাইড্রোজেন স্কেল অনুসারে) ভারী । পাঠ পরমাণুর ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন হিসাব, আইসোটোপ

প্রশ্ন ৩। চিকিৎসা ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা 

উত্তর : চিকিৎসা ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ গুরুত্বপূর্ণ নিচে তাকর। ব্যাখ্যা করা হলো : দেহের হাড় বেড়ে যাওয়া এবং কোথায় কেন ব্যথা হচ্ছে তা নির্ণয়ের জন্য Tc-99m ব্যবহৃত হয়। টিউমারের উপস্থিতি নির্ণয় এবং তা নিরাময়ে তেজষ্ক্রিয় আইসোটোপ "Co ব্যবহার করা হয়। "Co থেকে নির্গত গামা *রশ্মি ক্যান্সার কোষ কলা ধ্বংস করে। ৩. রক্তের লিউকোমিয়া রোগের চিকিৎসায় 32p এর ফসফেট ব্যবহার করা হয়। ৪. Dj থাইরয়েড গ্রন্থির কোষকলা বৃদ্ধি প্রতিহত করে। সুতরাং এ থেকে বলা যায় যে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন ৪। রোগ নির্ণয়ে আইসোটোপের ব্যবহার লিখ।
উত্তর : রোগ নির্ণয়ে আইসোটোপের ব্যবহার নিম্নরূপ : টেকনিশিয়াম-99 ("Tc) কে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। এই আইসোটোপ যখন শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে জমা হয়, তখন ঐ তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ গামা রশ্মি বিকিরণ করে, তখন বাইরে থেকে গামা রশ্মি শনাক্তকরণ ক্যামেরা দিয়ে সেই স্থানের ছবি তোল সম্ভব। এভাবে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করে রোগাক্রান্ত স্থানের ছবি তুলে রোগ নির্ণয় সম্ভব।

প্রশ্ন ৫। H, H পরমাণু দুটির ভর সংখ্যার ভিন্নতার কারণ ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর : H, †H হাইড্রোজেনের দুটি পরমাণুকে নির্দেশ করে। পরমাণু দুটির ভর সংখ্যা ভিন্ন। আমরা জানি, একটি মৌলের যে কোনো পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়। কিন্তু পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত নিউট্রন সংখ্যার তারতম্যের কারণে ভর সংখ্যা আলাদা হয়। H এবং H পরমাণু দুটির পারমাণবিক সংখ্যা একই কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা যথাক্রমে 0 ও।। এ কারণে পরমাণু দুটির ভর সংখ্যার ভিন্নতা দেখা যায়।

প্রশ্ন ৬। “নিউট্রন সংখ্যার বিভিন্নতা আইসোটোপ সৃষ্টির জন্য দায়ী” - বুঝিয়ে লিখ।
উত্তর : নিউট্রন সংখ্যার পরিবর্তনে একই মৌলের বিভিন্ন আইসোটোপ সৃষ্টি হতে পারে। যেমন CI পরমাণুর দুটি আইসোটোপ বিদ্যমান SCI এবং NCL SCI এর ক্ষেত্রে নিউট্রন সংখ্যা হলো 35 17 18 1 কিন্তু ”CI এর ক্ষেত্রে নিউট্রন সংখ্যা 37 17 = 20 অর্থাত্‍ 35CI ও "CI পরমাণু দুটির নিউট্রন সংখ্যা আলাদা হওয়ায় দুটি আইসোটোপের সৃষ্টি হয়েছে। তাই বলা যায়, নিউট্রন সংখ্যার বিভিন্নতা আইসোটোপ সৃষ্টির জন্য দায়ী।

প্রশ্ন ৭। কৃষিক্ষেত্রে ফসফরাসের আইসোটোপের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর : ফসফরাসের তেজস্ক্রিয় রশ্মি ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন উন্নত মানের বীজ উদ্ভাবন করা হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে ফলনের মানের উন্নতি ও পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। তেজস্ক্রিয় 32p যুক্ত ফসফেট দ্রবণ উদ্ভিদের মূলধারায় সূচিত করা হয়। গাইগার কাউন্টার ব্যবহার করে পুরো উদ্ভিদে এর চলাচল চিহ্নিত করে কী কৌশলে উদ্ভিদ বেড়ে উঠে তা ফসফরাস ব্যবহার করে জানা যায়।
প্রশ্ন ৮। MC আইসোটোপের ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর : "14C আইসোটোপ জীবাশ্ম, মমি, উল্কাপিণ্ড ইত্যাদি থেকে আরম্ভ করে পৃথিবীর বয়স নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। জীবিত উদ্ভিদ বা প্রাণিদেহে যতটুকু আইসোটোপ ক্ষয় হয় ঠিক ততটুকু আবার সৃষ্টি হয় বলে জীবিত অবস্থায় আইসোটোপের পরিবর্তন হয় না। তবে মৃত অবস্থায় আইসোটোপ সৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের পরিমাণ দেখে মৃতের বয়স নির্ধারণ করা যায়।
প্রশ্ন ৯ ৷ ‘তেজস্ক্রিয়তা পদার্থের নিউক্লীয় ধর্ম’ – ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : তেজস্ক্রিয়তা পদার্থের নিউক্লিয় ধর্ম। তেজস্ক্রিয়তা হলো কোনো পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন রশ্মি (a, B, y) নির্গমনের ঘটনা। অপরদিকে নিউক্লিয়ার ফিসন বিক্রিয়া হলো একটি বৃহৎ নিউক্লিয়াসকে নিউট্রন কণা দ্বারা আঘাত করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াসে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া। যেহেতু তেজস্ক্রিয়তার মাধ্যমে পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে বিভিন্ন রশ্মি নির্গমনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াস যুক্ত পরমাণুতে পরিণত হয়, সেহেতু তেজস্ক্রিয়তা একটি নিউক্লিয়ার ফিসন বিক্রিয়া।

প্রশ্ন ১০ ।“পরমাণু বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ"— উক্তিটি বুঝিয়ে দাও।
 উত্তর : স্বাভাবিক অবস্থায় পরমাণুতে প্রোটন ও ইলেকট্রন সংখ্যা সমান। পরমাণুতে যদি প্রোটন সংখ্যা অপেক্ষা ইলেকট্রন বেশি থাকে তবে এটি ঋণাত্মক চার্জ এবং ইলেকট্রন অপেক্ষা প্রোটন বেশি থাকলে ধনাত্মক চার্জ যুক্ত হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রে অবস্থিত ধনাত্মক প্রোটনের সমান সংখ্যক ঋণাত্মক ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরে বলে পরমাণু বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ।

প্রশ্ন ১১। 4s অপেক্ষা 3d অরবিটালের শক্তি বেশি—ব্যাখ্যা কর।
 উত্তর : অরবিটালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (n+l) এর মান হিসাব করে। যে অরবিটালের (n+l) এর মান বেশি সেটির শক্তি বেশি। 4s অরবিটালের ক্ষেত্রে = n +/-4+0 = 4 3d অরবিটালের ক্ষেত্রে = n+1=3+2=5 যেহেতু 3d অরবিটালের (n+l) এর মান বেশি, সেহেতু এর শক্তি বেশি।

প্রশ্ন ১২। 6s অরবিটালের শক্তি 4d অরবিটাল অপেক্ষা বেশি- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আউফবাউ নীতি অনুসারে, ইলেকট্রন প্রথমে নিম্নশক্তির অরবিটালে এবং পরে উচ্চ শক্তির অরবিটালে গমন করে। যার (n + ) এর মান কম সেটি নিম্নশক্তির অরবিটাল। 6s ও 4d অরবিটালের জন্য প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা, n এবং সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা, । এর যোগফল অর্থাৎ (n + 1) এর মান নিম্নরূপ :

6s অরবিটালে : n = 6, 1 = 0.n+/= 6+0= 6 4d অরবিটালে : n = 4, 1 = 2n+/=4+2=6 দেখা যাচ্ছে যে, 6s ও 4d অরবিটালের (n+l) এর মান সমান। এক্ষেত্রে যে অরবিটালের n এর মান বেশি সেই অরবিটালের শক্তিও বেশি । কাজেই সেই অরবিটালে ইলেকট্রন পরে প্রবেশ করবে। আবার 4d এর n এর মান কম তাই এ অরবিটালের শক্তি কম। এ অরবিটালে আগে ইলেকট্রন প্রবেশ করবে। অর্থাৎ, 6s অরবিটালের শক্তি 4d অপেক্ষা বেশি ।

প্রশ্ন ১৩। 2p অপেক্ষা 2s অরবিটাল এর শক্তি কম— ব্যাখ্যা কর।
 উত্তর : দুটি অরবিটালের মধ্যে যার (n +/) এর মান কম, তার শক্তিও কম হয়।

2p অরবিটালের জন্য : n = 2 এবং / = I (n+/)=2+1=3

2s অরবিটালের জন্য : n = 2 এবং / = 0

(n+l) = 2 +0= 2

দেখা যাচ্ছে যে, 2p ও 2s এর মধ্যে 2s এর (n+l) এর মান কম, তাই 2s এর শক্তিও কম।

প্রশ্ন ১৪। 3p অপেক্ষা 3d অরবিটালের শক্তি বেশি কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আউফবাউ নীতি অনুসারে, ইলেকট্রন প্রথমে নিম্নশক্তির অরবিটাল এবং পরে উচ্চ শক্তির অরবিটালে গমন করে। দুটি অরবিটালের মধ্যে কোনটি নিম্নশক্তির আর কোনটি উচ্চশক্তির তা (n + 7) এর মানের ওপর নির্ভর করে। যার (n+l) এর মান কম সেটি নিম্নশক্তির অরবিটাল। 3p ও 3d অরবিটালের জন্য (n + 1) এর মান নিম্নরূপ :

3p অরবিটালে : n = 3,/= 1 2n+1=3+1 = 4 3d অরবিটালে : n = 3, 1 = 2n+13+2=5 দেখা যাচ্ছে যে, 3d এর ক্ষেত্রে (n+l) এর মান বেশি। তাই 3d অরবিটালের শক্তি 3p অপেক্ষা বেশি।

প্রশ্ন ১৫। ৩য় শক্তি স্তরে forbital নেই, কেন?
উত্তর : ৩য় শক্তিস্তরে f অরবিটাল নেই। কারণ ৩য় শক্তিস্তরের জন্য n 3 এবং 1 = 0, 1, 2। জানা আছে। এর মান 0, 1 ও 2 এর জন্য sp ও d অরবিটাল সম্ভব হয়। তাই ৩য় শক্তিস্তরে f orbital নেই। প্রশ্ন ২৫। কপারের ইলেকট্রনিক বিন্যাস সাধারণ নিয়ম মানে না কেন?

প্রশ্ন ১৬। K এর 19 তম ইলেকট্রন 3d অরবিটালে প্রবেশ না করে 4s অরবিটালে যায় কেন- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আউফবাউ নীতি অনুসারে, ইলেকট্রন প্রথমে নিম্নশক্তির অরবিটালে এবং পরে উচ্চশক্তির অরবিটালে গমন করে। দুটি অরবিটালের মধ্যে কোনটি নিম্নশক্তির আর কোনটি উচ্চশক্তির তা (n + ) এর মানের ওপর নির্ভর করে। যার (n+l) এর মান কম সেটি নিম্নশক্তির অরবিটাল । 3d এবং 4s অরবিটালের জন্য (n+l) এর মান নিম্নরূপ : 3d অরবিটালে : n = 3, 1 = 2n+1= 3 + 2 = 5 4s অরবিটালে : n = 4, s = 0 n + I = 4 + 0 = 4 সুতরাং 3d এর চেয়ে 4s অরবিটালের শক্তি কম (4s < 3d) হওয়ায় পটাসিয়ামের 19তম ইলেকট্রন 3d অরবিটালে না গিয়ে 4s অরবিটালে স্থান গ্রহণ করে। ফলে K (19) এর ইলেকট্রন বিন্যাস হয়— K(19) → 1s 2 2s 2 2p 6 3s 2 3p24s'

SSC রসায়ন ৩য় অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
এসএসসি রসায়ন বই থেকে যত ধরনের প্রশ্ন হতে পারে যেমন। এসএসসির রসায়ন সকল অধ্যায়ের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর। এসএসসি রসায়ন সকল অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর। এসএসসি রসায়নে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর। এসএসসি রসায়নের সকল অধ্যায়ের  নোট। এসএসসি রসায়ন সকল অধ্যায়ের বহুনির্বাচনী প্রশ্ন উত্তর। এবং রসায়নের সাজেশন নবম । দশম শ্রেণীর রসায়ন সপ্তম অধ্যায়  প্রশ্নের উত্তর

SSC রসায়ন ৩য় অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর


Post a Comment

Previous Post Next Post