SSC রসায়ন ৭ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর PDF ( A+) ১০০% কমন উপযোগী

SSC রসায়ন ৭ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর। রসায়ন ৭ম অধ্যায়েকে বিশ্লেষণ করলে অনেকগুলো অনুধাবনমূলক প্রশ্ন পাওয়া যায় তার ভিতর বাছাইকৃত ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিম্নে দেওয়া হলো

SSC রসায়ন ৭ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর


প্রশ্ন 1। প্রশমন বিক্রিয়া একটি নন-রেডক্স বিক্রিয়া কেন?
উত্তর : এক বা একাধিক বিক্রিয়ক থেকে নতুন যৌগ উৎপন্ন হওয়ার সময় বিক্রিয়কে বিদ্যমান মৌলসমূহের মধ্যে ইলেকট্রন আদান-প্রদান না হলে বিক্রিয়াকে নন-রেঁডক্স বিক্রিয়া বলে। প্রশমন বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিক্রিয়কের এসিড ও ক্ষার এবং উৎপাদের লবণ ও পানি সবগুলোর ইলেকট্রন সংখ্যা বিক্রিয়ক ও উৎপাদে সমান থাকে অর্থাৎ কোনো ইলেকট্রন আদান-প্রদান হয় না।।

প্রশ্ন 2। জারণ সংখ্যা ও যোজনী একই বিষয় নয়—ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যোজনী ও জারণ সংখ্যা এক নয়, এর কারণ নিচে ব্যাখ্যা করা
হলো : ১. কোনো মৌলের যোজনী হলো অপর মৌলের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতা। যোজনীর কোনো ধনাত্মকতা বা ঋণাত্মকতা নেই। অপরদিকে কোনো যৌগে কোনো মৌলের জারণ সংখ্যা বলতে এমন একটি সংখ্যাকে বোঝায়, যা দ্বারা সংশ্লিষ্ট পরমাণুতে সৃষ্ট চার্জের প্রকৃতি ও সংখ্যামান উভয়ই প্রকাশ পায়। জারণ সংখ্যা ধনাত্মক ও ঋণাত্মক বা শূন্য হতে পারে।
২. মৌলের যোজনী সব সময় পূর্ণসংখ্যা। কিন্তু জারণ সংখ্যা ভগ্নাংশ হতে পারে। সুতরাং, বলা যায়, জারণ সংখ্যা ও যোজনী একই বিষয় নয় ।

 প্রশ্ন 3। ফ্লোরিনকে জারক বলা হয় কেন?
উত্তর : ফ্লোরিনকে জারক বলা হয়। এর কারণ ফ্লোরিনের প্রমাণ বিজারণ বিভবের মান (+2.87 V) অনেক উচ্চ। এছাড়া এটি অধিক সক্রিয় এবং মধ্যম সক্রিয় ধাতুর সাথে বিক্রিয়া করে ইলেকট্রন গ্রহণের মাধ্যমে ধাতব ফ্লোরাইড আয়ন গঠন করে। যেহেতু ফ্লোরিন ইলেকট্রন গ্রহণ করে, সেহেতু এটি জারক।

প্রশ্ন 4। পানি-বিশ্লেষণ ও পানিযোজন বিক্রিয়া এক নয় কেন? ব্যাখ্যা
উত্তর : যে বিক্রিয়ায় কোনো যৌগের দুই অংশ পানির বিপরীত আধান বিশিষ্ট দুই অংশের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন যৌগ উৎপন্ন করে তাকে পানি বিশ্লেষণ বিক্রিয়া বলে। পানি বিশ্লেষণ বিক্রিয়া দ্বিপ্রতিস্থাপন বিক্রিয়ার অনুরূপ। অপরদিকে যে বিক্রিয়ায় আয়নিক যৌগ কেলাস গঠনের সময় এক বা একাধিক সংখ্যক পানির অণুর সাথে যুক্ত হয় তাকে পানিযোজন বিক্রিয়া বলে। পানিযোজন বিক্রিয়া সংযোজন বিক্রিয়ার অনুরূপ। তাই বলা যায় পানি বিশ্লেষণ ও পানিযোজন বিক্রিয়া এক নয়

প্রশ্ন 5। পলিমারকরণ বিক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যে বিক্রিয়ায় উচ্চ তাপ ও চাপের প্রভাবে একই যৌগের অসংখ্য ক্ষুদ্র অণু বা মনোমারসমূহ পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে বৃহৎ আণবিক ভরবিশিষ্ট নতুন যৌগের অণু বা পলিমার গঠন করে তাকে  পলিমারকরণ বিক্রিয়া বলে। যেমন, উচ্চ তাপ ও চাপের প্রভাবে ভিনাইল ক্লোরাইড (CH2=CHCI) যৌগের অসংখ্য অণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে বৃহৎ আণবিক ভরবিশিষ্ট নতুন যৌগ পলিভিনাইল ক্লোরাইড (PVC) গঠন করে।

প্রশ্ন 6। পানিযোজন বিক্রিয়া বলতে কী বুঝ?
উত্তর : আয়নিক যৌগ কেলাস গঠনের সময় এক বা একাধিক সংখ্যক পানির অণুর সাথে যুক্ত হয়। এই বিক্রিয়াকে পানিযোজন বিক্রিয়া বলে। আয়নিক যৌগের সাথে যুক্ত পানিকে কেলাস পানি বা হাইড্রেটেড পানি বলে।-এ বিক্রিয়ায় সংযোজন বিক্রিয়ার অনুরূপ। তবে সংযোজন বিক্রিয়ার ন্যায় এ বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটে না।

প্রশ্ন 7। আৰ্দ্ৰ বিশ্লেষণ বিক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
 যে বিক্রিয়ায় কোনো যৌগের দুই অংশ পানির বিপরীত আধানবিশিষ্ট দুই অংশের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন যৌগ উৎপন্ন করে সেই বিক্রিয়াই আৰ্দ্ৰ বিশ্লেষণ বিক্রিয়া। আর্দ্র বিশ্লেষণ বিক্রিয়া দ্বি-প্রতিস্থাপন বিক্রিয়ার অনুরূপ। আর্দ্র বিশ্লেষণ বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগের অধঃক্ষেপ পরে।

প্রশ্ন 8। “লোহায় মরিচা ধরা” - এতে রসায়নের উপস্থিতি আছে। কী? ব্যাখ্যা কর। [রাজশাহী  

উত্তর : লোহায় মরিচা ধরা- এতে রসায়নের উপস্থিতি আছে। কেননা এতে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলোবিশুদ্ধ লোহা জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিতে বায়ুর অক্সিজেনের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে পানিযুক্ত ফেরিক অক্সাইড (Fe2O3. nH2O) উৎপন্ন করে যা মরিচা নামে পরিচিত।
বিক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন মরিচার উপাদান ও ধর্ম লোহা, পানি ও অক্সিজেনের উপাদান ও ধর্ম হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেমন লোহা চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয়; কিন্তু মরিচা আকৃষ্ট হয় না। অর্থাৎ সম্পূর্ণ নতুন যৌগ মরিচা উৎপন্ন হয়েছে। সুতরাং লোহায় মরিচা পড়া একটি রাসায়নিক পরিবর্তন।

প্রশ্ন 9। মৌমাছি পোকার কামড়ের ক্ষতস্থানে কেন চুন প্রয়োগ করা হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মৌমাছি পোকার কামড়ের ক্ষতস্থানে পোকার শরীর থেকে যে বিষ প্রবেশ করে তাতে অম্লীয় উপাদান থাকে। মানুষ পোকার কামড়ের জ্বালাযন্ত্রণা নিবারণ করার জন্য ক্ষতস্থানে চুন ব্যবহার করে। কারণ, চুন ক্ষারকধর্মী পদার্থ। এটা অম্লীয় উপাদানের সাথে প্রশমন বিক্রিয়া করে। তাই মৌমাছি পোকার কামড়ের ক্ষতস্থানে চুন প্রয়োগ করা হয়।

প্রশ্ন 10। রাসায়নিক সাম্যাবস্থা একটি গতিময় অবস্থা- ব্যাখ্যা কর
উত্তর : উভমুখী বিক্রিয়ার সম্মুখমুখী বিক্রিয়ায় হার ও পশ্চাৎমুখী বিক্রিয়ার হার সমান হলেই বিক্রিয়াটি সাম্যাবস্থায় উপনীত হয়। আপাতদৃষ্টিতে সাম্যাবস্থায় বিক্রিয়াটিকে স্থির মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে বিক্রিয়াটি গতিশীল। এ অবস্থায় প্রতি সেকেন্ডে যতগুলো বিক্রিয়ক অণু বিক্রিয়া করে উৎপাদ তৈরি করে ঐ একই সময়ে উৎপাদ বিক্রিয়া করে ঠিক ততগুলো বিক্রিয়ক অণু উৎপন্ন করে। তাই রাসায়নিক সাম্যাবস্থা একটি গতিশীল অবস্থা, স্থির অবস্থা নয় ।

প্রশ্ন 11। উভমুখী বিক্রিয়াকে কীভাবে একমুখী বিক্রিয়ায় রূপান্তর করা যায়?
উত্তর : আমরা জানি, উভমুখী বিক্রিয়া অসম্পূর্ণ। উভমুখী বিক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে একমুখী করা যায়। কোনো উভমুখী বিক্রিয়ায় একটি উৎপাদকে যদি ক্রমাগত বিক্রিয়াস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে বিপরীত বিক্রিয়াটি সংঘটিত হতে পারে না। অর্থাৎ তখন উভমুখী সাম্যাবস্থা আর বজায় থাকে না। যেমন- জিংক ও সালফিউরিক এসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হাইড্রোজেন গ্যাসকে পৃথকভাবে সংগ্রহ করা হলে বিক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় তথা বিক্রিয়াটি একমুখী হয় ।
আবার, বিক্রিয়াটি খোলা পাত্রে সংঘটিত হলে এবং উৎপাদ গ্যাসীয় হলে উভমুখী বিক্রিয়া একমুখী হয়।

প্রশ্ন 12। বিক্রিয়ার হারের ওপর তাপমাত্রার প্রভাব ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : তাপমাত্রা বিক্রিয়ার হারকে অধিক মাত্রায় পরিবর্তন করে। সাধারণত প্রতি 10°C তাপমাত্রা বাড়ার সাথে বিক্রিয়ার হার 2 থেকে 3 গুণ বেড়ে যায়। তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে বিক্রিয়ক অণুর গতিশক্তি এবং গতিবেগ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে একক সময়ে নির্দিষ্ট আয়তনে অবস্থিত কণাগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের হার বৃদ্ধি পায়। সংঘর্ষের হার বৃদ্ধি পেলে বিক্রিয়ার হারও বেড়ে যায়।

প্রশ্ন 13। লা-শাতেলিয়ের নীতিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : লা-শাতেলীয়ারের নীতিটি হলো- উভমুখী বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় বিক্রিয়ার যেকোনো একটি নিয়ামক পরিবর্তন করলে বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা এমনভাবে পরিবর্তন হয় যেন নিয়ামক পরিবর্তনের ফলাফল প্রশমিত হয়। যেমন তাপহারী বিক্রিয়ায় সাম্যাবস্থায় তাপমাত্রা হ্রাস বা বৃদ্ধি করলে বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা বাম বা ডান দিকে অগ্রসর হয়ে তাপমাত্রা পরিবর্তনের ফলাফলকে প্রশমিত করে।
SSC রসায়ন ৭ম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তরএসএসসি রসায়ন বই থেকে যত ধরনের প্রশ্ন হতে পারে যেমন। এসএসসির রসায়ন সকল অধ্যায়ের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর। এসএসসি রসায়ন সকল অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর। এসএসসি রসায়নে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর। এসএসসি রসায়নের সকল অধ্যায়ের  নোট। এসএসসি রসায়ন সকল অধ্যায়ের বহুনির্বাচনী প্রশ্ন উত্তর। এবং রসায়নের সাজেশন নবম । দশম শ্রেণীর রসায়ন সপ্তম অধ্যায়  প্রশ্নের উত্তর

Post a Comment

Previous Post Next Post